পুণে বিস্ফোরণ, এখনও সূত্র হাতড়াচ্ছেন গোয়েন্দারা
দু`দিন কেটে গেলেও পুণে বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে এখনও বড়সড় কোনও সূত্র পায়নি জাতীয় তদন্ত সংস্থা(এনআইএ) এবং মহারাষ্ট্র পুলিসের সন্ত্রাসদমন শাখা(এটিএস)। তবে প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন`কেই পুণে-কাণ্ডের জন্য চিহ্নিত করা হচ্ছে।
দু`দিন কেটে গেলেও পুণে বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে এখনও বড়সড় কোনও সূত্র পায়নি জাতীয় তদন্ত সংস্থা(এনআইএ) এবং মহারাষ্ট্র পুলিসের সন্ত্রাসদমন শাখা(এটিএস)। তবে প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন`কেই পুণে-কাণ্ডের জন্য চিহ্নিত করা হচ্ছে। বুধবার রাতে জংলি মহারাজ রোডে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ব্যবহৃত সাইকেলগুলি যে দোকান থেকে কেনা হয়েছিল, তার মালিক ও কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি, পুণেতে বড় নাশকতা ঘটানোই ছিল উদ্দেশ্য। কেক বোমার ডিটোনেটরে ত্রুটি থাকায় বিস্ফোরণের তীব্রতা কম হয়। বিস্ফোরক হিসাবে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক ফরেনসিক তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। বিস্ফোরণের পিছনে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হাত রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে, আহত দয়ানন্দ পাতিলকে এখনও ক্লিনচিট দিচ্ছে না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ঘটনার দিন পুণের জে এম রোডের একাধিক সিসিটিভি কেন অকেজো ছিল তা জানতে চেয়েছেন মন্ত্রকের আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জার্মান বেকারিতে বিস্ফোরণের পর পুণে শহরজুড়ে ৭০টি হাই-ডেফিনেশন সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তার অধিকাংশই বিকল হয়ে গিয়েছে। দেনা ব্যাঙ্ক, ম্যাকডোনাল্ডস এবং বাল গন্ধর্ব থিয়েটারের সামনে যে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি বসানো রয়েছে, সেগুলি থেকে এখন পর্যন্ত কোনও তথ্য প্রমাণই পাননি গোয়েন্দারা। কারণ সেগুলির বেশিরভাগই কাজ করছে না। অন্যগুলিতে ছবির মান অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় তদন্তে তেমন কোনও সুবিধা হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার ভোরে এনআইএ, সিএফএসএল এবং এনএসজি`র বোমা বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় দু`টি ইমপ্রোভাইস এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস। এদিকে, পুণে বিস্ফোরণে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের স্কেচ তৈরি করছে মহারাষ্ট্র পুলিসের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড(এটিএস)। বিস্ফোরণে ব্যবহৃত সাইকেলগুলি যে দোকান থেকে কেনা হয়েছিল সেই দোকানের মালিক ও কর্মীদের আটক করেছে পুলিস। তাঁদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই অপরাধীদের স্কেচ আঁকা হচ্ছে।
বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ৩টি সাইকেল পুণের সোনি সাইকেল ট্রেডিং কোম্পানি নামে একটি দোকান থেকে বুধবার সকালে কেনা হয় বলে জানিয়েছে এটিএস। সন্ধেয় ওই সাইকেলে রাখা বিস্ফোরক থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। সন্দেহভাজন ৩ অপরাধী সাইকেলে কেরিয়ার লাগানোর জন্য তাঁদের বলেছিল বলে জানিয়েছেন দোকানের কর্মীরা।