তিন ডজন রুটি, দশ প্লেট ভাত! কোয়ারেন্টাইনে থাকা যুবকের খাওয়া দেখে রাঁধুনী দের মাথায় হাত
তিন ডজন রুটি, দশ প্লেট ভাত, আশিটা লিটটি। সঙ্গে বাটির পর বাটি তরকারি সাবার করে দিচ্ছেন অনুপ।
নিজস্ব প্রতিবেদন - গত কয়েকদিনে তাঁকে দেখে রাধুনিরা এদিক ওদিক দৌড় দিতেন। তাঁকে দেখে এমনিতে কারও বোঝার উপায় নেই যে এত খাবার তাঁর পেটে ঢোকে। মোটা সোটা চেহারা নয়। ছিমছাম। তাহলে এত খাবার যায় কোথায়! আমাদের চারপাশে এমন অনেকে আছেন যারা ডায়েটের ধার ধারেন না। মন যখন যেটা চায় খেয়ে ফেলেন। তাতে তাঁদের শরীরে মেদ জমে না। এমনকী ওজনও যেমন থাকার তেমনই থাকে। আবার এমনও অনেক আছেন যাদের জল খেলেও ওজন বেড়ে যায়। বিহারের বক্সার জেলার অনুপ ওঝার খাওয়ার পরিমাণ দেখলে অনেকেরই চোখ কপালে উঠবে। কিন্তু তাঁর চেহারা দেখে কেউ ধরতে পারবেন না, অনুপ এত খেতে পারেন!
করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন তিনি। তাই তাঁকে চোদ্দ দিন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাওয়ার পর থেকেই রাঁধুনির মাথায় হাত। এমন খাওয়া কি কোনও স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে সম্ভব! তিন ডজন রুটি, দশ প্লেট ভাত, আশিটা লিটটি। সঙ্গে বাটির পর বাটি তরকারি সাবার করে দিচ্ছেন অনুপ। একাই প্রায় দশজন মানুষের খাবার খেতে নিচ্ছেন তিনি। এদিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের দায়িত্বে থাকা লোকজনের কিছু করার নেই। প্রশাসনের নির্দেশে অনুপকে রাখা হয়েছে। ফলে তাঁর থাকা খাওয়ায় কোনও সমস্যা থাকলে চলবে না। কিন্তু রোজ অনুপের খাবার জোগাড় করতে গিয়ে হিমশিম খেতেন রাঁধুনিরা। যাই হোক অনুপের কোয়ারেন্টাইনে থাকার মেয়াদ শেষ হয়েছে। হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন যেন সবাই। অনুপ কিন্তু নির্বিকার। যতটা খাবার খেলে তাঁর পেট ভরে তিনি ঠিক ততটাই খান। এমনই দাবি অনুপের।
আরও পড়ুন: ‘করোনা সংকট দেশের কাছে একটা সুযোগ, গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টির এটাই সঠিক সময়’
কিন্তু কী করে একজন মানুষ এমন খাবার খান? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিশেষজ্ঞরা বলেন, রহস্য লুকিয়ে রয়েছে জেনেটিক কোডে। এছাড়া শরীরের মেটাবোলিজম, জীবন যাপনের ধরনের ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। আবার অনেক মানুষের ক্ষেত্রে এমন হয়, কতটা খাবার খেলে পেট ভরে যাবে সেটা মস্তিষ্ক নির্ধারন করতে পারে না। ফলে সেই ব্যক্তি প্রয়োজনের থেকেও বেশি খাবার গ্রহন করে ফেলেন। অনুপ ওঝার ক্ষেত্রেও এমনই কোনও ব্যাপার হয়ে থাকবে হয়তো!