কলাইকুন্ডায় মিটিংয়ে ডাকছেন, আমরা চাকর-বাকর! এত সাহস কোথা থেকে আসে? পাল্টা মমতার
এদিন হলদিয়ার সভায় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ফণি ঘূর্ণিঝড়ের পর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পর্যালোচনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন। কিন্তু সাড়া দেননি মুখ্যমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচনের আগে ফণি পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এড়িয়ে রাজ্যে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছেন মোদী। গোপীবল্লভপুরের সভা থেকে পাল্টা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,''এর আগে বন্যায় দেখা করেছিলাম, একটাও পয়সা দেননি''।
এদিন হলদিয়ার সভায় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ফণি ঘূর্ণিঝড়ের পর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পর্যালোচনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন। কিন্তু সাড়া দেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, কথায়, ''আমি অপেক্ষা করছিলাম। ভেবেছিলাম, দিদি বোধহয় ঘুরিয়ে ফোন করবেন। আরও একবার ফোন করেছি। পশ্চিমবাংলার অবস্থা নিয়ে মমতা দিদির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। দ্বিতীয়বারও কথা বলেলনি''।
গোপীবল্লভপুরের সভায় মমতা পাল্টা বলেন, ''২০১৩ সালে বন্যাবিধ্বস্ত অঞ্চলগুলি নিজে দেখতে গিয়েছিলাম। তখন কোথায় ছিলেন? আপনি তো এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনের আগে রাজনীতি করছেন। উনি সভা করতে আসছেন। সেজন্য কলাইকুন্ডায় নামবেন। আর আমরা চাকর-বাকর। সেখানে ডেকে পাঠাবেন। আপনি কলাইকুন্ডাই সভা করার জন্য আসছেন, কেন সরকারি বৈঠক করব? আপনি নির্বাচনী মিটিং করতে আসতেন না। তাহলে সরকারি বৈঠক হতো''।
কুর্তা-মিষ্টি পর্ব নিয়ে মোদী-মমতা আঁতাঁতের অভিযোগ করে আসছে বাম-কংগ্রেস। এহেন প্রেক্ষাপটে ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদের বৈঠক বা মোদী-মমতা ফোনে কথা সেই অভিযোগকে আরও হাওয়া দিত বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। আর সেটাই শোনা গিয়েছে মমতার মুখে। তৃণমূল নেত্রী বলেন, ''নির্বাচনের সময় আপনার সঙ্গে একমঞ্চে থাকব না। নতুন প্রধানমন্ত্রী যিনি হবেন তাঁকে বলব। দিদির পায়ের নখের যোগ্য হতে পারবেন। গোপীবল্লভপুর, জামবনী, ঝাড়গ্রাম, বেলপাহাড়ির মানুষ কাঁদছিল, তখন কোথায় ছিলেন? এর আগে বন্যায় দেখা করেছিলাম, একটাও পয়সা দেননি''।
ফণিতে যা বিপর্যয় হয়েছে, তা সামলানোর ক্ষমতা রাজ্য সরকারের রয়েছে বলেও দাবি করেন মমতা। তাঁর কথায়,''ওইটুকু সামলানোর ক্ষমতা আছে। পাঁচ হাজার বাড়ি ভেঙেছে। ত্রিশ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত''।
নরেন্দ্র মোদী যে আর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না, আরও একবার তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা। বলেন,''আপনি এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী। নামে আছেন, কাজে নেই। কেন আপনার সঙ্গে বৈঠক করব? মুখ্যমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে মিটিং করছেন। এত সাহস হয় কোথা থেকে? বৈঠক করে ছবি তুলবেন। নাটক দেখাবেন। ওই টাকা তো কেউ পাবে না। দিদি আপনার মতো প্লেনে করে এসে বাংলা দেখে না। নির্বাচনের আগে দয়া দেখাতে এসেছেন। কোনও দয়া চাই না''।
আরও পড়ুন- এত অহংকার! দু'বার ফোন করেছি, ভাবলাম দিদি ঘুরিয়ে ফোন করবেন: মোদী