‘বাবার হত্যাকারীর মৃত্যুতেও কষ্ট পেয়েছি’

কংগ্রেস প্রধান বলেন, “আমার পরিবারের দু’জন সদস্যকে হিংসার কারণে হারিয়েছি। আমার ঠাকুমা (ইন্দিরা গান্ধী) এবং আমার বাবাকে (রাজীব গান্ধী) হত্যা করা হয়েছে। এমন হিংসায় আমি ক্ষত-বিক্ষত।” 

Updated By: Aug 23, 2018, 02:45 PM IST
‘বাবার হত্যাকারীর মৃত্যুতেও কষ্ট পেয়েছি’
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীর মৃত্যুতেও কষ্ট পেয়েছিলেন রাহুল। কারণ, হিংসায় যে ভাবে তিনি ক্ষত-বিক্ষত হয়েছেন, তেমনই হত্যাকারীর সন্তানরাও সেই ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে। হিংসা সমস্যার সমাধান নয়। বুধবার জার্মানির হ্যামবার্গের বুসেরিয়াস সামার স্কুলে তাঁর অনুভবের কথা শেয়ার করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

আরও পড়ুন- কেরলে বিদেশি সরকারের সাহায্য নেবে না ভারত, স্পষ্ট করল মোদী সরকার

কংগ্রেস প্রধান বলেন, “আমার পরিবারের দু’জন সদস্যকে হিংসার কারণে হারিয়েছি। আমার ঠাকুমা (ইন্দিরা গান্ধী) এবং আমার বাবাকে (রাজীব গান্ধী) হত্যা করা হয়েছে। এমন হিংসায় আমি ক্ষত-বিক্ষত।” উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর দুই দেহরক্ষীর হাতে খুন হন। ১৯৯১ সালে ইন্দিরা গান্ধীর পুত্র তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী জঙ্গি নাশকতায় খুন হন। শ্রীলঙ্কার জঙ্গি সংগঠন এলটিটিই-র প্রধান প্রভাকরণ এই খুনে জড়িত ছিল বলে জানা যায়। ২০০৯ সালে এলটিটিই-কে উত্খাত করে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন। সে সময় শ্রীলঙ্কা সেনার গুলিতেই নিহত হয় প্রভাকরণ।

আরও পড়ুন- মোদীর জমানায় বাড়ছে বেকারত্ব, ‘আইসিস’ প্রসঙ্গ তুলে বিতর্কে রাহুল

রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বাবার খুনিকে হত্যার পর সেলিব্রেশন করতে পারতাম। কিন্তু পারিনি। সে দিন তার মৃত্যুতেও আমার ভীষণ কষ্ট হয়। বোন প্রিয়ঙ্কাকে ডেকে দেখাই। সেও কষ্ট পায়। জানেন কেন সে দিন কষ্ট পেয়েছিলাম? ওই জঙ্গির সন্তানদের মধ্যে নিজের ছেলেবেলাকে খুঁজে পেয়েছিলাম। বাবার মৃত্যুর দিন ভীষণ কেঁদেছিলাম। আজ তারা কাঁদছে।’

আরও পড়ুন- দেশের সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

রাহুল আরও বলেন, “এটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত অনুভব। হিংসা পর একটাই পথ খোলা থাকে, তা হল ক্ষমা।” কংগ্রেস সভাপতি আরও জানিয়েছেন, অহিংসকে দুর্বল ভাবলে ভুল করা হবে। অহিংসই একমাত্র পথ যার মাধ্যমে হিংসার বিরুদ্ধে লড়া যায়। রাহুলের ‘গান্ধীগিরি’ মন্তব্যের পাশাপাশি মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনাও শোনা যায়। বেকারত্ব, গণপিটুনি, রাজনৈতিক হিংসা এবং সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে একের পর এক সমালোচনায় নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বিদ্ধ করেন তিনি। আর্থিক সংস্কারেও মোদীর ব্যর্থতা রাহুল তুলে ধরেন। নোটবন্দির জেরে সার্বিক ক্ষতি হয়েছে ভারতের। ছোটো ব্যবসায়ীরা মুখ থুবড়ে পড়েছেন। পাশাপাশি জিএসটির প্রয়োগও যথাযথভাবে হয়নি বলে অভিযোগ রাহুলের। তাঁর কথায়, “ছোট প্রতিষ্ঠানগুলিতে বহু সংখ্যক কর্মী কাজ করেন, যারা মোদী সরকারের আর্থিক নীতির জেরে গ্রামে ফিরে গিয়েছেন। ভারতকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে এ সরকার।”

.