রাহুল গান্ধীর উপর নজরদারির অভিযোগ ওড়াল কেন্দ্র

রাহুল গান্ধীর ওপর নজরদারির অভিযোগ উড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ রাজ্যসভায় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, সিকিওরিটি প্রোফাইলিংয়ের অঙ্গ হিসাবেই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছিল। এর সঙ্গে চরবৃত্তির আদৌ কোনও সম্পর্ক নেই। রাহুল গান্ধীর প্রসঙ্গ টেনে আজ বিরোধীদের ওপর  নজরদারির বিষয়টি রাজ্যসভায় তোলেন কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা।

Updated By: Mar 16, 2015, 03:56 PM IST
রাহুল গান্ধীর উপর নজরদারির অভিযোগ ওড়াল কেন্দ্র

নয়া দিল্লি: রাহুল গান্ধীর ওপর নজরদারির অভিযোগ উড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ রাজ্যসভায় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, সিকিওরিটি প্রোফাইলিংয়ের অঙ্গ হিসাবেই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছিল। এর সঙ্গে চরবৃত্তির আদৌ কোনও সম্পর্ক নেই। রাহুল গান্ধীর প্রসঙ্গ টেনে আজ বিরোধীদের ওপর  নজরদারির বিষয়টি রাজ্যসভায় তোলেন কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা।

এরই জবাবে জেটলি বলেন, ১৯৮৭ সাল থেকেই সোনিয়া গান্ধীসহ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের সম্পর্কে এই সিকিওরিটি ফাইলিংয়ের রীতি চালু রয়েছে। ১৯৯৯সালে এর ধরনে কিছু বদল আনা হয় । এই পদ্ধতিতে এখন দেশের মোট ৫২৬ জনের সিকিওরিটি প্রোফাইলিং করা হয় বলেও এদিন জেটলি জানান।  

কোথায় আছেন রাহুল গান্ধী? সেই খোঁজেই কংগ্রেস পার্টি দফতরে হাজর হয়েছিলেন দিল্লি পুলিসের এক আধিকারিক। রাহুল এখন কোথায় আছেন জানতে চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর চুল ও চোখের রঙ, উচ্চতা, জুতোর মাপ এমনকি তাঁর বাবা-মায়ের নাম, ওই আধিকারিকের প্রশ্ন থেকে বাদ যায়নি কছুই। আর এতেই খেপেছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। অভিযোগ, কংগ্রেসদ ভাইস প্রেসিডেন্টের পিছনে চরবৃত্তি করছে কেন্দ্র সরকার। যদিও দিল্লি পুলিস অস্বীকার করেছে সব অভিযোগই।

নয়া দিল্লিতে কংগ্রেসের দলীয় মুখপাত্র আনন্দ শর্মা বলেছেন ''যখন প্রশ্নটা ব্যক্তিগত অধিকারে হস্তক্ষেপের তখন সরকার তার উত্তর দিতে বাধ্য। একটা রাজ্যে ওরা যা চালিয়েছিল গোটা দেশে সেটাই ছড়িয়ে দিতে চায় ওরা। মোদী আর অমিত শাহ দু'জনেই এখন এখানে। এটা কোনও একজন ব্যক্তির মধ্যে আর আবদ্ধ নেই। এর শিকর অনেক গভীরে প্রেথিত। গুজরাতে যে প্রচলন শুরু হয়েছিল ওরা চায় গোটা দেশের তা ছড়িয়ে দিতে।''

কংগ্রেসের ভাষায় এই ঘটনা 'স্নুপগেট টু'। স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ যে ব্যলতির রক্ষণা বেক্ষণের দায়িত্বে থাকে কিসের প্রয়োজনের প্রধামন্ত্রীর তাঁর সম্পর্কে বিস্তারত তথ্য জানার থাকে? প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।

যদিও, দিল্লি পুলিসের বক্তব্য নিরাপত্তার স্বার্থে এটা তাদের রুটিন অনুসন্ধান ছিল। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই, কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফ থেকে দিল্লি পুলিসের কাছে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

রাহুল গান্ধীর ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলানোর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দিল্লি পুলিসের দাবি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার প্রচলিত পদ্ধতির অংশ হিসাবেই ওই আধিকারিক রাহুল গান্ধীর খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন। এর সঙ্গে কোনও ধরণের ষড়যন্ত্রের প্রশ্নই ওঠে না।

.