চৌকিদার চোরের পাল্টা রাহুল-কা-পুরা-খানদান-চোর, চরমে কংগ্রেস-বিজেপির বাকযুদ্ধ
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল অভিযোগ করেন, ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাত অনিল আম্বানির সংস্থাকে পাইয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওলাঁদ তো নরেন্দ্র মোদীকে ‘চোর’ বলছেন বলে দাবি করেন রাহুল
নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘চৌকিদার’ মোদীকে রাহুল গান্ধী ‘চোর’ বলার পর টুইটে রাতারাতি একটি হ্যাজট্যাগ ভাইরাল হয়েছে। সেটা হল #রাহুল-কা-পুরা-খানদান-চোর। শনিবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর তীক্ষ্ণ বাণে বিদ্ধ হওয়ার পরও মুছড়ে পড়েনি বিজেপি। কারণ, খোদ ওলাঁদের কাছ থেকে ‘অক্সিজেন’ পেয়ে ফের যুদ্ধের আসরে নেমেছে বিজেপি ব্রিগেড। প্রধানমন্ত্রীকে ‘চোর’ বলায় রাহুলের সমালোচনায় খড়গহস্ত বিজেপির শীর্ষ নেতারা।
আরও পড়ুন- ‘রাহুলের থেকে কিছুই আশা করা যায় না, পরিবারতন্ত্রের ক্ষমতায় পদে বসেছেন,’ পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির
প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন টুইটারে লেখেন, কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধী বারবার মিথ্যে বিষয়টিকে আওড়াচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর মন্ত্রককের বিরুদ্ধে করুচিকর মন্তব্য করছে তারা। আমাদের সরকাররে কোনও দুর্নীতি নেই। #রাহুল-কা-পুরা-খানদান-চোর এই শব্দবন্ধ ভাইরাল হলে অবাক হব না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর টুইট ফরোয়াড করে এই মন্তব্য করেন নির্মলা। হরদীপের টুইটে জওহরলাল নেহরু থেকে মনমোহন সরকার পর্যন্ত যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। শনিবার রাহুলের সংবাদিক বৈঠকের পরই পাল্টা বৈঠক করে কংগ্রেস সভাপতির মন্তব্যের সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। রবিশঙ্কর প্রশ্ন তোলেন, দরপত্রে দ্যাসো যখন কার্যত চূড়ান্ত, তার ছয় মাস পরে ২০১২ সালে রাফাল চুক্তি নিয়ে পুনরায় ভেবে দেখা হল কেন? এই চুক্তিতে কংগ্রেসের কোনও ঘুষ মিলছে না বলে!
আরও পড়ুন- ‘সত্য দু’রকম হতে পারে না’, ওলাঁদ পিছু হটতেই কংগ্রেসকে খোঁচা জেটলির
উল্লেখ্য, শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল অভিযোগ করেন, ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাত অনিল আম্বানির সংস্থাকে পাইয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওলাঁদ তো নরেন্দ্র মোদীকে ‘চোর’ বলছেন বলে দাবি করেন রাহুল। ওলাঁদের অভিযোগ খণ্ডন করতে প্রধানমন্ত্রীকে মুখ খোলার অনুরোধ করেন তিনি। শুক্রবার, ফ্রান্সের এক জার্নালে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়াঁ ওলাঁদ বলেন, ভারতই অনিল আম্বানির সংস্থার নাম প্রস্তাব রাখে দ্যাসোর কাছে। এখানে ফ্রান্স সরকারের কোনও ভূমিকা নেই।
ওলাঁদের এই মন্তব্য কার্যত পরমাণুর মতো বিস্ফোরণ ঘটে ভারতে। কেন্দ্রের তরফে যথাযথ উত্তর না মিললেও, ম্যাক্রোঁর সরকার এবং যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা দ্যাসো তড়ঘড়ি বিবৃতি দিয়ে জানায় ওলাঁদের এই মন্তব্যের ভিত্তি নেই। দ্যাসো ‘স্বইচ্ছায়’ অনিল আম্বানির সংস্থাকে বেছে নিয়েছে। যদিও পরে তাঁর প্রথম বক্তব্য থেকে সরে এসে ওলাঁদ পরে বলেন, রিলায়্যান্স সংস্থা এবং দ্যাসোর মধ্যে সমঝোতার বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না।