এক অদ্ভূত যমজ সন্তানের জন্ম হল রাজকোটে
মায়ের শরীরে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে নতুন প্রাণ। তারপর একসময় গোটা একটা শরীর নিয়ে সেই ভ্রূণের পৃথিবীতে আবির্ভাব। প্রকৃতির খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। তবুও প্রাণের সৃষ্টির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এক রহস্য। আর এই রহস্য আরও রহস্যময় হয়ে উঠেছে গুজরাটের রাজকোটের একটি হাসপাতালে। মা জন্ম দিয়েছেন এমন এক অদ্ভূত যমজের যা ভারতে ১০ লক্ষ জনের মধ্যে একজনের দেখা যায়।
ওয়েব ডেস্ক: মায়ের শরীরে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে নতুন প্রাণ। তারপর একসময় গোটা একটা শরীর নিয়ে সেই ভ্রূণের পৃথিবীতে আবির্ভাব। প্রকৃতির খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। তবুও প্রাণের সৃষ্টির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এক রহস্য। আর এই রহস্য আরও রহস্যময় হয়ে উঠেছে গুজরাটের রাজকোটের একটি হাসপাতালে। মা জন্ম দিয়েছেন এমন এক অদ্ভূত যমজের যা ভারতে ১০ লক্ষ জনের মধ্যে একজনের দেখা যায়।
যমজ দুই শিশুর শরীরের সব অঙ্গই আলাদা আলাদা, কিন্তু দু'জনের মুখ একটাই। শরীরে দুটো মানুষ হলেও মাথার ভেতরে ব্রেন একটাই। ভারতে এই ধরণের শিশুর জন্ম খুবই বিরল। তবে এটি বিরলের মধ্যেও বিরলতম বলা যেতে পারে। কারণ এই শিশুর চেহারা বড়ই অদ্ভূত। সচরাচর এই ধরণের চেহারা এইসব ক্ষেত্রে দেখা যায় না। গর্ভাধারণের পর বেশ কয়েকমাস ওই মহিলা কোনও চিকিৎসাই করাননি, ফলে শুরুতে তা ধরা পড়েনি। পরে আল্ট্রা সোনোগ্রাফিতে ধরা যায় এই ঘটনা। এক্ষেত্রে শিশু দুটির যে বাঁচার সম্ভাবনা নেই সেকথাও চিকিৎসকেরা তখনই জানিয়েছিলেন। তবুও সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। জন্মের সময় অবশ্য কোনও সমস্যা হয়নি। শিশু দুটিকে বাইরে আনার পর স্ক্যান করে দেখা যায় ওদের মাথার ভিতরে একটিই ব্রেন রয়েছে। একটি ব্রেনের দু'টি শরীরে কাজ করা সম্ভব নয় তাই মাত্র ৬ মিনিটের মধ্যে ব্রেন ফিউজ হয়ে যায়। শিশু দুটির মৃত্যু হয়।
রাজকোটের যে হাসপাতালে শিশু দুটির জন্ম হয়েছিল সেখানে ১৪০ বছরে এই নিয়ে তৃতীয় বার এমন বিরল ঘটনার সাক্ষী হল হাসপাতালটি। ডাক্তারদের মতে ডিম্বাণু থেকে ভ্রূণ তৈরি হওয়ার সময় তা দু'ভাগে ভেঙে গেলে জন্ম হয় যমজ সন্তানের। আর এই ভাঙন যদি সঠিক মাত্রায় না ঘটে তখনই দেখা যায় এরকম ঘটনা।