রেহমান-মনমোহন সাক্ষাৎ, প্রসঙ্গ সন্ত্রাস
সন্ত্রাসে মদত দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগ সুকৌশলে এড়িয়ে গেলেন পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক। আজও হাফিজ সঈদ প্রসঙ্গে দাড় এড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। ২৬/১১ কাণ্ডের মূল চক্রী সঈদের শাস্তি প্রসঙ্গে উল্টে ভারতের বিরুদ্ধেই যথেষ্ট প্রমাণ না দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী।
সন্ত্রাসে মদত দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগ সুকৌশলে এড়িয়ে গেলেন পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক। আজও হাফিজ সঈদ প্রসঙ্গে দাড় এড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। ২৬/১১ কাণ্ডের মূল চক্রী সঈদের শাস্তি প্রসঙ্গে উল্টে ভারতের বিরুদ্ধেই যথেষ্ট প্রমাণ না দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী।
ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে শনিবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেননের সঙ্গে বৈঠক করেন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক। আলোচনার অনেকটাই জুড়ে ছিল ২৬/১১ মুম্বই হামলার প্রসঙ্গ। যদিও মুম্বই হামলার চক্রীদের শাস্তি প্রসঙ্গে কোনও প্রতিশ্রুতি মেলেনি পাকমন্ত্রীর কাছ থেকে। বৈঠকের প্রাপ্তি বলতে, দ্রুত তদন্ত শেষ করার জন্য পাকিস্তান থেকে বিচারবিভাগীয় কমিশন পাঠানোর আশ্বাস। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে এই মামলার ধীর গতিতে বিচার নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। এই প্রসঙ্গটিও কৌশলে এড়িয়ে যান রেহমান মালিক। হাফিজ সঈদের শাস্তির বিষয়ে এদিন ভারতের ঘাড়েই উল্টে দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন তিনি। হাফিজ সঈদের বিরুদ্ধে ভারত কোনও প্রমাণ নয়, শুধু তথ্য দিয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন মালিক।
কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, হাফিজ সঈদ ইস্যুতে এদিন খোলাখুলিই হাত ধুয়ে ফেলার চেষ্টায় ছিলেন পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী। সন্ত্রাসদমন ইস্যুতে দুই দেশকে হাত মিলিয়ে একযোগে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন রেহমান মালিক। তাঁর বক্তব্য, ভারত-পাকিস্তান দু'দেশই সন্ত্রাশের শিকার। সম্প্রীতিরক্ষা ও শান্তির বার্তার আড়ালে বাবরি কাণ্ডের মতো ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু তুলে আদতে পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল।