জঙ্গি থেকে সেনা, প্রজাতন্ত্র দিবসে মরণোত্তর অশোক চক্র ল্যান্স নায়েক শহিদ নাজির ওয়ানিকে

মাহাজেবিন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমার কাছে ও ছিল একটা মশালের মতো। গোটা পরিবারকে যত্ন করে আগলে রাখতো। খুবই ভালোবাসতো আমাকে

Updated By: Jan 26, 2019, 11:32 AM IST
জঙ্গি থেকে সেনা, প্রজাতন্ত্র দিবসে মরণোত্তর অশোক চক্র ল্যান্স নায়েক শহিদ নাজির ওয়ানিকে

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রজাতন্ত্র দিবসে শহিদ লান্স নায়েক নাজির আহমেদ ওয়ানিকে মরণোত্তর অশোক চক্র দিয়ে সম্মান জানানো হয়। রাজধানীতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে ওয়ানির স্ত্রী ও মায়ের হাতে ওই সম্মান তুলে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গত বছর কাশ্মীরের সোপিয়ানে এক সেনা অভিযানে ৬ জঙ্গিকে নিধন করে শহিদ হন নাজির আহমেদ। ওয়ানিই প্রথম কাশ্মীরি যিনি এই সম্মানে ভূষিত হলেন।

আরও পড়ুন-প্রণবের ভারতরত্ন ঘোষণার পর 'দাদা'কে কী বললেন মোদী? 

নাজির আহমেদের জীবনী বেশ রোমাঞ্চকর। এক সময়ের জঙ্গি নাজির হাতিয়ার ছেড়ে অস্ত্র ধরেছিলেন দেশের সুরক্ষায়। ২০০৪ যোগ দেন টেরিটোরিয়াল আর্মিতে। স্বামী দেশের অন্যতম সম্মান পাচ্ছেন শুনে অদ্ভূত প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নাজিরের স্ত্রী মাহাজেবিন। তিনি বলেন, আমাকে যখন বলা হল ও আর নেই তখন আমি কাঁদিনি। ভেতর থেকে বেঁচে থাকার একটি শক্তি অনুভব করছিলাম যা আমাকে কাঁদতে দেয়নি।

পনের বছর আগে নাজিরের সঙ্গে স্কুলে প্রথম ঘনিষ্ঠতা মাহাজেবিনের। সেই সঙ্গিকে হারাতে হয়েছে। মাহাজেবিন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমার কাছে ও ছিল একটা মশালের মতো। গোটা পরিবারকে যত্ন করে আগলে রাখতো। খুবই ভালোবাসতো আমাকে। আসপাশের লোকজনের সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে সবসময়ে আমাকে উত্সাহ দিত। একজন শিক্ষক হিসেবে দেশের জন্য সু-নাগরিক তৈরির কাজ করছি আমি। এই সাহস-উত্সাহ আমি ওয়ানির কাছ থেকেই পাই।

আরও পড়ুন-প্রোমোটিং নিয়ে গোলমাল, গভীর রাতে তিলজলায় চলল গুলি

গত ২৫ নভেম্বরের কথা এখনও জ্বলজ্বল করে মাহাজেবিনের মনে। এদিন মাহাজেবিনকে ফোন করেন নাজির। বাড়ির সবাই কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করেন। নিজের দিকে খেযাল রাখার কথা বলেন মাহাজেবিনও। কিন্তু নিয়তি তার জন্য অন্য কিছু লিখেছিল।   

.