মোদীর সমর্থনে মুখর সঙ্ঘ
ক্রমশ বেড়েই চলেছে নীতীশ কুমার-নরেন্দ্র মোদির বৈরিতা। মঙ্গলবারের পর বুধবারও ধর্মনিরপেক্ষ প্রধানমন্ত্রীর দাবিতে অনড় থাকলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বুধবার ২০০৪ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপির হারের পিছনে গুজরাট দাঙ্গাকে দায়ী করে নীতিশ কুমার বলেন, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় রাজধর্ম পালনে ব্যর্থ হয়েছিলেন মোদী। যার ফলস্বরূপ ২০০৪ সালে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয় বিজেপিকে।
ক্রমশ বেড়েই চলেছে নীতীশ কুমার-নরেন্দ্র মোদির বৈরিতা। মঙ্গলবারের পর বুধবারও ধর্মনিরপেক্ষ প্রধানমন্ত্রীর দাবিতে অনড় থাকলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বুধবার ২০০৪ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপির হারের পিছনে গুজরাট দাঙ্গাকে দায়ী করে নীতিশ কুমার বলেন, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় রাজধর্ম পালনে ব্যর্থ হয়েছিলেন মোদী। যার ফলস্বরূপ ২০০৪ সালে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয় বিজেপিকে। এমনকী, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী মোদিকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন ২০০২ সালেই। কাজেই প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে মোদিকে তাঁর দল সমর্থন করবেন না বলেই ইঙ্গিত দেন তিনি। বিহারের বিজেপি উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীও নীতীশের বক্তব্য সমর্থন করে বলেন, বিতর্কিত কোনও ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরার বিপক্ষে সরব হয়ে উচিত কাজই করেছেন নীতীশ।
অন্যদিকে নীতীশ কুমারের গতকালের বক্তব্যের ১৮০ ডিগ্রি বিপরীত বক্তব্য পেশ করে কার্যত নরেন্দ্র মোদীরই পাশে দাঁড়িয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন মধুকর ভাগবত। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী গতকালের মন্তব্যের প্রেক্ষীতে আজ ভাগবত সাংবাদিকদের বলেন, "হিন্দুত্বের প্রবক্তারই এদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিৎ। নীতীশ কুমার নিজেকে হিন্দু বলতেই ভীত।"
অন্যদিকে নীতিশ কুমারের ধর্মনিরপেক্ষ প্রধানমন্ত্রীর দাবিকে সামনে রেখে জেডি(ইউ) নেতা শিবানন্দ তিওয়ারি এদিন বলেন, "ক্ষমতায় এসে সরকার গড়বে নাকি ধর্মন্মোত্ততা নিয়ে বিরোধী আসনেই থাকবে সেটা বিজেপিকে নিজেকেই ঠিক করতে হবে।"
মঙ্গলবারই নীতীশ কুমার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তাঁর দল নরেন্দ্র মোদীর মতো কোনও কট্টর নেতাকে এনডিএ`র প্রার্থী হিসেবে মেনে নেবে না। একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, "এনডিএর ঘোষিত প্রার্থীকে সমস্ত শরিকদলের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। তাঁকে অবশ্যই ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতন্ত্রে আস্থাশীল হতে হবে।" ওই দৈনিককে তিনি আরও জানান, ভারতের মতো বহু ধর্ম এবং বহু ভাষাভাষীর দেশে কোনও নেতার কাছ থেকেই কঠোর আচরণ কাম্য নয়। সবার সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারলেই তিনি আস্থাভাজন হতে পারবেন।