Gay Judge | Delhi High Court: দিল্লি হাইকোর্টের মাথায় 'গে' বিচারপতি-ই! কেন্দ্রের আপত্তি উড়িয়ে স্পষ্ট 'সুপ্রিম' সিদ্ধান্ত
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নেতৃত্বাধীন বিচারপতি এস কে কউল ও বিচারপতি কে এম জোসেফকে নিয়ে গঠিত ৩ সদস্যের কলেজিয়াম স্পষ্ট জানিয়েছে, সৌরভ কৃপালকে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব ৫ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। এবার এটাকে যত শীঘ্র সম্ভব বাস্তবায়িত করতে হবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেন্দ্রের আপত্তি খারিজ। নিজের সিদ্ধান্তেই অটল থাকল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। সিনিয়র আইনজীবী 'গে' সৌরভ কৃপালকেই দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করতে চলেছে কলেজিয়াম। কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল, ভারতে এখনও সমপ্রেম বিবাহ আইনত সিদ্ধ নয়। সেখানে দাঁড়িয়ে যত-ই সমপ্রেম ভারতের বৈধ হোক না কেন, সমপ্রেম বিবাহ বৈধ না হওয়ায়, একজন ঘোষিত 'গে' ব্যক্তিকে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগে আপত্তি জানায় কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, ২০২১-এর ১১ নভেম্বর কলেজিয়াম যখন প্রথমবার সৌরভ কৃপালের নাম দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে সুপারিশ করে, তখনই কেন্দ্র আপত্তি জানিয়ে নোট পাঠায়। তবে কেন্দ্রের সেই আপত্তি ধোপে টিকল না। কলেজিয়াম তার নিজের অবস্থানেই অনড় রইল। প্রাথমিক অবস্থানেই অটল থাকল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নেতৃত্বাধীন বিচারপতি এস কে কউল ও বিচারপতি কে এম জোসেফকে নিয়ে গঠিত ৩ সদস্যের কলেজিয়াম স্পষ্ট জানিয়েছে, সৌরভ কৃপালকে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব ৫ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। এবার এটাকে যত শীঘ্র সম্ভব বাস্তবায়িত করতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেই সমপ্রেম বিয়ে নিয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এখন থেকে সমপ্রেম বিয়ে সংক্রান্ত সব মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। আলাদা আলাদা করে কোনও হাইকোর্টে নয়। বিভিন্ন রাজ্য়ের হাইকোর্টে সমপ্রেম সংক্রান্ত যত মামলার শুনানি বাকি আছে, এবার সব হবে সপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিংহ ও বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালার বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। এই ইস্যুতে সর্বোচ্চ আদালতের তরফে সরকারের কাছ থেকে জবাব চাওয়া হয়েছ। কেন্দ্রীয় সরকারকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই সংক্রান্ত নোটিসের জবাব জমা দিতে বলা হয়েছে।
২০১৮-র ৬ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক রায়দানের মাধ্যমে সমপ্রেমকে অপরাধমুক্ত বলে ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত। ব্রিটিশ আমলের পুরোনো আইনকে প্রত্যাহার করে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছিল, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় দু'জনের পূর্ণ সম্মতিতে সমপ্রেম অপরাধ নয়। সেই পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ছিলেন দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ও। তবে সমপ্রেম বৈধ হলেও সমপ্রেম বিয়ে এখনও আইনত বৈধতা পায়নি ভারতে। এবার সেই সমপ্রেম বিয়ে সংক্রান্ত মামলার শুনানিও হবে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চেই। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, যদি কোনও মামলাকারী সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে না পারে, তবে ভার্চুয়াল শুনানিও গ্রহণযোগ্য হবে।
আরও পড়ুন, দলত্যাগী বিধায়করা 'পতিতা'দের মত! বেলাগাম কংগ্রেস নেতার বিতর্কিত মন্তব্য