নদী সংযুক্তিকরণে উদ্যোগী হতে কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

"আর বিলম্ব নয়!" বহুচর্চিত জাতীয় নদী সংযুক্তকরণ প্রকল্প নিয়ে আজ সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এস এইচ কাপাডিয়া, বিচারপতি স্বতন্তর কুমার এবং বিচারপতি এ কে পট্টনায়ককে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, অবিলম্বে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলি যুক্ত করার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করার জন্য একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করতে হবে কেন্দ্রকে।

Updated By: Feb 27, 2012, 02:31 PM IST

"আর বিলম্ব নয়!"
বহুচর্চিত জাতীয় নদী সংযুক্তকরণ প্রকল্প নিয়ে আজ সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এস এইচ কাপাডিয়া, বিচারপতি স্বতন্তর কুমার এবং বিচারপতি এ কে পট্টনায়ককে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, অবিলম্বে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলি যুক্ত করার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করার জন্য একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করতে হবে কেন্দ্রকে। বিভিন্ন কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতরের গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকদের পাশাপাশি এই কমিটিতে রাখতে হবে নদী বিশেষজ্ঞ এবং পরিবেশ এবং সামাজিক আন্দোলনে জড়িত ব্যক্তিদের। কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক, বন ও পরিবেশ মন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রক এবং যোজনা কমিশনের তরফে চার জন করে অ-সরকারি বিশেষজ্ঞকে মনোনয়ন করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০০২ সালে, অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায় বন্যা, খরার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলির মোকাবিলায় নদী সংযুক্তিকরণ প্রকল্প রূপায়ণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে একটি `টাস্ক ফোর্স`ও গঠন করে তত্‍কালীন এনডিএ সরকার। সেই টাস্ক ফোর্স-এর তরফে উত্তর ভারতের হিমালয়ের বরফগলা জলে পুষ্ট নদী এবং দাক্ষিণাত্যের বর্ষা-নির্ভর নদীগুলির সংযুক্তির দু`টি পৃথক পরিকল্পনা পেশ করা হয়। দাক্ষিণাত্যের গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী, মহানদী, পেন্নার বিভিন্ন নদীর মোট ১৬টি `লিঙ্কেজ` স্থাপন করে `সাদার্ন ওয়াটার গ্রিড` স্থাপনের কথা বলা হয়েছিল এই পরিকল্পনায়। ছিল গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, কোশী, মেচ, সবরমতি, সুবর্ণরেখা, দামোদর, গণ্ডক, যমুনা-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন নদীর মধ্যে ১৪টি সংযুক্তিকরণ প্রকল্প রূপায়ণের প্রস্তাবও।

৫ লক্ষ কোটি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের মোট ১৬ কোটি হেক্টর কৃষিজমি সেচের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে জানান টাস্ক ফোর্স-এর বিশেষজ্ঞরা। যদিও চিরাচরিত পদ্ধতির মাধ্যমে এই সময়সীমার মধ্যে কোনও অবস্থাতেই ১৪ কোটি হেক্টরের বেশি কৃষিজমিতে সেচের ব্যবস্থা করা সম্ভবপর নয় বলে জানান হয়েছিল রিপোর্টে। কিন্তু পরিবেশবাদী শিবিরের একাংশের তরফে নদীগুলি যুক্ত করার এই উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছিল। এই শিবিরের যুক্তি, দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে নদী সংযুক্তিকরণ প্রকল্প ২০১৬ সালের মধ্যে কাজ শুরুর কথা থাকলেও ২০০৪ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের ক্ষমতা দখলের পরই হিমঘরে চলে যায় এনডিএ জমানার নদী জোড়ার উদ্যোগ।

.