শিনা খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ইন্দ্রানীর দ্বিতীয় স্বামী সঞ্জীব খান্না

শিনা ভোরা হত্যা কাণ্ডে যুক্ত থাকার কথা জেরায় স্বীকার করে নিল ইন্দ্রানীর দ্বিতীয় স্বামী সঞ্জীব খান্না। গতকালই কমিশনার রাকেশ মারিয়া মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেন ইন্দ্রাণী মুখার্জি, সঞ্জীব খান্না ও শ্যাম রাইকে। আলাদাভাবে জেরা করা হয় মিখাইলকে। তদন্তে ইন্দ্রাণীর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। জেরা শেষে পুলিস কমিশনার রাকেশ মারিয়া জানিয়েছেন, পেন গ্রাম থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড় ডিএনএ টেস্টে পাঠানো হবে।

Updated By: Aug 29, 2015, 03:14 PM IST
শিনা খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ইন্দ্রানীর দ্বিতীয় স্বামী সঞ্জীব খান্না

ব্যুরো: শিনা ভোরা হত্যা কাণ্ডে যুক্ত থাকার কথা জেরায় স্বীকার করে নিল ইন্দ্রানীর দ্বিতীয় স্বামী সঞ্জীব খান্না। গতকালই কমিশনার রাকেশ মারিয়া মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেন ইন্দ্রাণী মুখার্জি, সঞ্জীব খান্না ও শ্যাম রাইকে। আলাদাভাবে জেরা করা হয় মিখাইলকে। তদন্তে ইন্দ্রাণীর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। জেরা শেষে পুলিস কমিশনার রাকেশ মারিয়া জানিয়েছেন, পেন গ্রাম থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড় ডিএনএ টেস্টে পাঠানো হবে।

শিনা হত্যা রহস্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য।  শুক্রবার ইন্দ্রাণী মুখার্জি, সঞ্জীব খান্না ও শ্যাম রাইকে মুখোমুখি বসিয়ে খার পুলিস স্টেশনে দীর্ঘ সময় ধরে জেরা করে  কমিশনার রাকেশ মারিয়া। ডেকে পাঠানো হয় মিডিয়া টাইকুন পিটার মুখার্জিকেও। আলাদাভাবে জেরা করা হয় মিখাইলকে। জেরা থেকে উঠে এসেছে আরও বেশকিছু নতুন তথ্য। জেরায় সঞ্জীব খান্না শিনা ভোরা হত্যা কাণ্ডে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ইন্দ্রানীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না।

দুহাজার বারোয় শিনার দেহ মিলেছিল যেখানে শুক্রবার সেই জায়গায় যান পুলিস ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে হাড়, মাথার খুলি ও পোড়া কাপড়ের টুকরো। সেগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনার রাকেশ মারিয়া।

শিনা ভোরাকে খুনের পর তাকে সকলের কাছে বাঁচিয়ে রাখতে মিথ্যে গল্প ফেঁদেছিল ইন্দ্রাণী। সকলেই জানত পড়াশুনার জন্য আমেরিকায় গেছে ইন্দ্রাণীর বোন। শুক্রবার দেরাদুন থেকে উদ্ধার হয়েছে শিনা ভোরার একটি পাসপোর্ট। মায়ের হাতে মেয়েকে খুনের অভিযোগ ঘিরে এই মুহুর্তে উত্তেজনায় কাঁপছে গোটা দেশ। প্রতি মুহূর্তে ধোঁয়াশা আর নাটকীতয়ার পারদ চড়ছে। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমে খুনের পিছনে অন্তত তিনটি বিষয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছে গোয়েন্দারা।

মোটিভ ১

আইএনএক্স বিক্রির পর শিনার অ্যাকাউন্টে অনেক টাকা রাখেন ইন্দ্রাণী। যা ফেরত দিতে চাইছিলেন না শিনা। তা নিয়ে মা মেয়ের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া লেগে থাকত।

মোটিভ ২

ইন্দ্রাণীর জীবনের অনেক কিছুই জানতেন শিনা। দুহাজার দশ থেকে দুহাজার বারো সালের মধ্যে প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্নার সঙ্গে ফের সু সম্পর্ক গড়ে উঠছিল ইন্দ্রাণীর। যা জানতেন না পিটার মুখোপাধ্যায়। শিনা তাঁকে বলে দেওয়ার হুমকি দিতেন।

মোটিভ ৩

পিটার মুখোপাধ্যায়ের ছেলে রাহুলের সঙ্গে শিনার সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না ইন্দ্রাণী। এই সব মিলিয়ে শিনাকে পৃথিবী থেকে সরানোর জন্য ইন্দ্রাণী মরিয়া হয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। সেই সঙ্গে শিনা হত্যা রহস্যে পিটার মুখোপাধ্যায়কে সন্দেহের উর্দ্ধে রাখছেন না গোয়েন্দারা। শিনা যে ইন্দ্রাণীর মেয়ে তা জানিয়ে পিটারের অফিসে মেল করেন বলে দাবি করেছেন মিখাইল। আইএনএক্সে আর্থিক তছরুপের তদন্ত করছে ইডি। তাতে পিটার মুখোপাধ্যায়ের আর্থিক লেনদেনের কী ভুমিকা রয়েছে সে বিষয়ে ইডির কাছে শুক্রবার রিপোর্ট চেয়ে পাঠান গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, আইএনএক্স মিডিয়া থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ব্রিস্টল এবং স্পেনে বাড়ি কেনেন পিটার মুখোপাধ্যায়। ভারতে ফিরে ফের মিডিয়া ব্যবসায় ফিরতে চাইছিলেন পিটার। তার জন্য একজন বিনিয়োগকারীর সঙ্গেও তাঁর কথা হয়।

 

.