চাষীর আয় মাসে সাড়ে তিন হাজার, চাষী সেজে নেতার কামাই কোটি টাকা! দুর্নীতি প্রকাশ্যে
বিহার, ঝাড়খন্ড সহ মোট পাঁচটি রাজ্যের চাষীদের আর্থিক অবস্থা করুণ।
নিজস্ব প্রতিবেদন- নির্বাচনের আগে বিহারের আবহাওয়া এখন বেশ গরম। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী প্রচারের কাজ শুরু করেছে জোরকদমে। তবে এরই মাঝে ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিস একটি মজাদার পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। সেই পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, বিহার, ঝাড়খন্ডসহ দেশের পাঁচটি রাজ্যে চাষীদের মাসিক আয় গড়ে ৩৫৫৮ টাকা। এদিকে নিজেদের চাষী বলে পরিচয় দেওয়া রাজনৈতিক নেতাদের সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। বিহার নির্বাচনের আগে এমন একখানা পরিসংখ্যান কি বড় প্রভাব ফেলতে পারে! তার উত্তর সময় দেবে। তবে আপাতত দুর্নীতির এই ভয়ঙ্কর ছবি এদেশে চাষীদের করুণ অবস্থার কথা বর্ণনা করার জন্য যথেষ্ট।
বিহার, ঝাড়খন্ড সহ মোট পাঁচটি রাজ্যের চাষীদের আর্থিক অবস্থা করুণ। তবে সেই পরিসংখ্যান বলছে, পাঞ্জাবে চাষীদের আর্থিক অবস্থা কিছুটা ভাল। সেখানে চাষীদের গড় আয় মাসে ১৮ হাজার টাকার মতো। ২৮ অক্টোবর থেকে বিহারের প্রথম দফার নির্বাচন শুরু হবে। আর তাই সমস্ত রাজনৈতিক দল প্রার্থীদের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়মমাফিক তুলে ধরেছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে বড়সড় দুর্নীতির ছবি। মোট ১০৬৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪২ জন প্রার্থী এমন রয়েছেন, যাঁরা নিজেদের চাষী বলে পরিচয় দিয়েছেন। এদিকে ৯৩ জন প্রার্থী এমন রয়েছেন, যাঁরা অন্যান্য ব্যবসার সঙ্গে চাষবাসও পেশা বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ''বাংলাদেশ থেকে লোক ঢুকছে, আমাদের বর্ডার পাহারা দিতে দিন'', সরকারের কাছে আবেদন
যে ৪২ জন প্রার্থী নিজেদের কৃষক বলে পরিচয় দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজনের নামে ২৯.৩৯ একর জমি রয়েছে। তিনি বিজেপির প্রার্থী রামাধার সিং। ঔরঙ্গাবাদ থেকে নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন। জামালপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অজয় সিং-এর নামে জমির পরিমাণ ২৭.৭৫ একর। জনতা দল ইউনাইটেডের প্রার্থী রাজীব লোচন নারায়ণ সিং ২২.৫ একর জমির মালিক। এই ৪২ জন প্রার্থীর গড় আয় ১.২৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ তাঁরা নামেই কৃষক। বা বলতে পারেন নির্বাচন এলে শুধুমাত্র সম্পত্তির পরিমাণ দেখানোর সময় তাঁরা নিজেদের চাষী বলে পরিচয় দেন।