লোকায়ুক্ত বিতর্ক, হাইকোর্ট ধাক্কা খেলেন নরেন্দ্র মোদি

প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার নিয়ে দলের মধ্যে প্রবল টানাপোড়েনের মধ্যেই ধাক্কা খেলেন নরন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদী। অগাস্ট মাসে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে লোকায়ুক্ত পদে আর কে মেহতাকে নিয়োগ করেছিলেন গুজরাতের রাজ্যপাল ড. কমলা বেণীওয়াল।

Updated By: Oct 10, 2011, 01:02 PM IST

প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার নিয়ে দলের মধ্যে প্রবল টানাপোড়েনের মধ্যেই ধাক্কা খেলেন নরন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদী। অগাস্ট মাসে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে লোকায়ুক্ত পদে আর কে মেহতাকে নিয়োগ করেছিলেন গুজরাতের রাজ্যপাল ড. কমলা বেণীওয়াল। রাজনৈতিক স্তরে বিরেধিতার পাশাপাশি বিজেপির তরফে লোকায়ুক্ত নিয়োগ বিতর্ককে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিচারবিভাগীয় আঙিনায়। গেরুয়া শিবিরের দাবি ছিল, মন্ত্রিসভার পরামর্শ না নিয়ে লোকায়ুক্ত নিয়োগ করে সাংবিধানিক প্রথা ভেঙেছেন রাজ্যপাল। তাই অবিলম্বে আর কে মেহতার নিয়োগ বাতিল করা প্রয়োজন। কিন্তু সোমবার গুজরাত হাইকোর্ট সেই আর্জিতে সায় দেয়নি। বিচারপতি সোনিয়া গোকানি মোদী শিবিরের অভিযোগের
সারবত্তা মেনে নিলেও অপর বিচারক আকিল কুরেশি জানান, এক্ষেত্রে রাজ্যপাল কোনও অসাংবিধানিক আচরণ করেননি। এই পরিস্থিতিতে মামলাটি পুনর্বিবেচনার জন্য হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে এদিনই মোদী বিরোধী আইপিএস আফিসার সঞ্জীব ভাটের জামিন আবেদনের শুনানি আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে আমদাবাদ শেসন কোর্ট। গুজরাত সরকারের তরফে দায়রা বিচারক ভিকে ব্যাসের এজলাসে ধৃত সঞ্জীব ভাটের জামিনের আবেদনের শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান হয়েছিল। রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, কেডি পন্থ নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের উপর মিথ্যা হলফনামা পেশের জন্য চাপ সৃষ্টির অভিযোগে ধৃত সঞ্জীবকে জেরার জন্য পুলিশ রিমান্ডে নিতে চেয়েছে
প্রশাসন। এই উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই আদালতে একটি পৃথক মামলা করা হয়েছে। সেই আবেদনের রায় না আসা পর্যন্ত জামিনের শুনানি স্থগিত রাখা প্রয়োজন। মোদী সরকারের এই দাবি কার্যত মেনে নিয়েছে আদালত। ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় মদত দেওয়ার জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে অভিযোগের আঙুল তোলায় সাসপেন্ড করা হয়েছিল সঞ্জীবকে। রাজ্যের আইপিএস লবির বড় অংশের ধারণা, প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যেই মিথ্যা মামলায় ভাটকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গুজরাতের ৩৫ জন আইপিএস অফিসার প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে সঞ্জীব ভাটের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ফলে নিশ্চিত ভাবেই চাপ বেড়েছে বিজেপি সরকারের উপর।

.