প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে মেয়ে! JNU-এর প্রাক্তন নেত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ বাবার
বাবার বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ শেলা রশিদের।
Updated By: Dec 1, 2020, 02:17 PM IST
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে মেয়ে! JNU-এর প্রাক্তন বামপন্থী ছাত্রনেত্রী শেলা রশিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তাঁর বাবা আব্দুল রশিদ শোরা। তাঁর দাবি, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জন্য শেলা নাকি মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়েছেন। তাতে রাজি না হওয়া নিজের দেহরক্ষীকে দিয়ে বাবা-কে খুনের হুমকি দিয়েছেন। এমনকী, দেশের বিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তুলে বামপন্থী এই ছাত্রনেত্রীর এনজিও-র বিরুদ্ধে তদন্তেরও দাবি তুলেছেন তাঁর বাবা। যদিও যাবতীয় অভিযোগই অস্বীকার করেছেন শেলা রশিদ।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরেই বামপন্থী ছাত্রনেত্রী শেলা রশিদের বিরুদ্ধে একের এক বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন তাঁর বাবা আব্দুল রশিদ শোরা। কিন্তু কেন? পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বাবা সঙ্গে মেয়ে ও তাঁর পরিবারের বিবাদ চলছে। বস্তুত, নভেম্বরে আব্দুল রশিদ শোরাকে তাঁদের শ্রীনগরের বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে কাশ্মীরের একটি আদালত। তার জেরেই কি একের এক বিস্ফোরক অভিযোগ? আব্দুলের অভিযোগ, ২০১৭ সালে শাহ ফয়জলের রাজনৈতিক দলে যোগদানের জন্য ৩ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল শেলাকে! শুধু তাই নয়, সেই যাঁদের কাছ থেকে এসেছিল, তাঁরা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। শেলার রশিদের বাবা আরও দাবি, তাঁর স্ত্রী ও বড় মেয়ে অর্থাৎ শেলার দিদিও এই চুক্তির অংশীদার। এই আর্থিক লেনদেনে আপত্তি তোলাতেই তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেন জেএনইউ-র প্রাক্তন এই বামপন্থী ছাত্রনেত্রী।
এদিকে আবার টুইটারে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন শেলা রশিদও। তাঁর দাবি, বাবা যে অভিযোগ করছেন, তা ভিত্তিহীন ও নিন্দনীয়। বাড়িতে ঢোকার অধিকার হারিয়ে বদলা নিচ্ছেন তিনি। যখন জেএনইউ-তে পড়তেন, তখন বিজেপি বিরোধী বামপন্থী ছাত্রনেত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন শেলা। বাবার অভিযোগে পর তাঁকে নিশানা করতে আসরে নেমেছে গেরুয়াশিবির।
1) Many of you must have come across a video of my biological father making wild allegations against me and my mum & sis. To keep it short and straight, he's a wife-beater and an abusive, depraved man. We finally decided to act against him, and this stunt is a reaction to that. pic.twitter.com/SuIn450mo2
— Shehla Rashid (@Shehla_Rashid) November 30, 2020