চিটফান্ড রোখার দায়িত্ব রাজ্যের: সুব্বারাও

চিটফান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে আজ এই মন্তব্য করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ডি সুব্বারাও। পাশাপাশি তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যঙ্কগুলিতে শেষ ত্রৈমাসিকে নগদ জমার অনুপাত কমে যাওয়ায়। আগামী অর্থবর্ষে কেন্দ্র ভর্তুকির বদলে টাকা দেবার যে নীতি নিয়েছে, তা মুদ্রাস্ফিতীর ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেও জানান সুব্বারাও।

Updated By: Dec 6, 2012, 09:35 PM IST

চিটফান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে আজ এই মন্তব্য করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ডি সুব্বারাও। পাশাপাশি তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যঙ্কগুলিতে শেষ ত্রৈমাসিকে নগদ জমার অনুপাত কমে যাওয়ায়। আগামী অর্থবর্ষে কেন্দ্র ভর্তুকির বদলে টাকা দেবার যে নীতি নিয়েছে, তা মুদ্রাস্ফিতীর ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেও জানান সুব্বারাও।
রাজ্যে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা চিটফান্ডগুলির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে রাজ্য সরকারকেই। জানালেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ডি সুব্বারাও। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক লগ্নিকারীদের সচেতন বা সতর্ক করতে পারে। সংশ্লিষ্ট পুলিসকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী সরাসরি চিটফান্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবার এক্তিয়ার তাদের নেই।
ব্যঙ্কে নগদ জমার অনুপাতের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সুব্বারাও। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে এ ব্যাপারে তার কথাও হয়েছে বলে জানান তিনি। কাঙ্খিত ন্যুনতম লক্ষ্যমাত্রা যেখানে ৭০ শতাংশ, সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের নগদ জমার অনুপাত মাত্র 65 শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে এই অনুপাত বাড়িয়ে কমপক্ষে ৬৮ শতাংশ করার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশিকা দিয়েছে আরবিআই।
মুদ্রাস্ফীতি এই মুহূর্তে ৭.৫ শতাংশ। আগামী অর্থবর্ষে ভর্তুকির বদলে টাকা দেবার যে নীতি কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছে, তার কোনও প্রভাব মুদ্রাস্ফিতীর ওপর পড়বে না বলেই ধারণা সুব্বারাওয়ের।

.