"বাবা ধর্ষণ করার পর মা ওষুধ খেতে দিতো", ছাত্রীর চিঠি পেয়ে শিউরে উঠলেন শিক্ষক

চিঠিটি খোলার আগেও শিক্ষক জানতেন না কী ভয়াবহ বার্তা দিয়েছে মেয়েটি। শিক্ষকের টেবিলে চুপিচুপি ছুটির আবেদন দিয়ে চলে গিয়েছিল সে। যাতে লেখা ছিল প্রতিদিন তাকে ধর্ষিত হতে হয় বাবার দ্বারা। সবকিছু জেনেও চুপ করে থাকেন তার মা। তাই অবশেষে শিক্ষকের দ্বারস্থ হয়েছে কিশোরী মেয়েটি। চিঠি পড়েই এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিক্ষক। তাদের সাহায্যেই বাবা, মায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় ধর্ষণের অভিযোগ।

Updated By: Jul 23, 2015, 06:39 PM IST
"বাবা ধর্ষণ করার পর মা ওষুধ খেতে দিতো", ছাত্রীর চিঠি পেয়ে শিউরে উঠলেন শিক্ষক

ওয়েব ডেস্ক: চিঠিটি খোলার আগেও শিক্ষক জানতেন না কী ভয়াবহ বার্তা দিয়েছে মেয়েটি। শিক্ষকের টেবিলে চুপিচুপি ছুটির আবেদন দিয়ে চলে গিয়েছিল সে। যাতে লেখা ছিল প্রতিদিন তাকে ধর্ষিত হতে হয় বাবার দ্বারা। সবকিছু জেনেও চুপ করে থাকেন তার মা। তাই অবশেষে শিক্ষকের দ্বারস্থ হয়েছে কিশোরী মেয়েটি। চিঠি পড়েই এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিক্ষক। তাদের সাহায্যেই বাবা, মায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় ধর্ষণের অভিযোগ।

গত সপ্তাহে লেখা চিঠিতে ১৩ বছরের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীটি জানিয়েছিল, আমার বাবা আমাকে ধর্ষণ করে, মা সব জেনেও আমার সাহায্যে এগিয়ে আসেন না। চিঠি পড়েই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে ছুটে যান শিক্ষক। সোমবার অভিযোগ দায়ের হয়েছে মুম্বইয়ের ভাসি থানায়। পুলিসা জানিয়েছে অভিযুক্ত বাবা একজন ফল বিক্রেতা। বয়স ৪৫ বছর। পুলিসের কাছে বিবৃতিতে মেয়েটি জানিয়েছে, "মায়ের সামনেই বাবা আমাকে ধর্ষণ করতো। তারপর মাঝে মাঝেই মা আমাকের একটা করে ওষুধ খেতে দিতো। আমার যখন ৭ বছর বয়স তখন থেকে চলে আসছে এই ঘটনা। মা কখনই আমাকে সাহায্য করেনি।" অভিযোগকারিনী মেয়েটির এক দিদি, এক দাদা ও দুজন ছোট ভাই রয়েছে। অন্য ভাইবোনরা বাড়িতে যখন থাকতো না তখনই তাকে ধর্ষণ করা হতো বলে জানিয়েছে সে। মায়ের সাহায্য না পেয়ে বড় দিদির(১৭) কাছে ছুটে গিয়েও লাভ হয়নি। কারণ, দিদিও ছিল একই পরিস্থিতির শিকার। প্রতিবেশীদের জানালে তারাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

পুলিস জানিয়েছে, নভি মুম্বইয়ের কিছু স্কুলে কয়েকটি এনজিও শিশুদের যৌন নির্যাতন নিয়ে কাউন্সেলিং সেশন করেছিল। তারপরই সাহস সঞ্চয় করে মেয়েটি। তার বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আপাতত একটি চিলড্রেন্স হোমে রয়েছে মেয়েটি।

 

.