৩৮ দিন ধরে নিখোঁজ জওয়ান! জঙ্গিদের কাছে পরিবারের আর্জি, ''মেরে ফেললে দেহ অন্তত দাও''

২ অগাস্ট কাশ্মীরের কুলগাঁওতে শাকিরের গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল কেউ বা কারা! তার পর ৫ অগাস্ট শোপিয়ার লনধরা এলাকায় তাঁর জামা-কাপড়ের ছেঁড়া টুকরো পেয়েছিলেন সেনা জওয়ানরা। 

Edited By: সুমন মজুমদার | Updated By: Sep 13, 2020, 02:00 PM IST
৩৮ দিন ধরে নিখোঁজ জওয়ান! জঙ্গিদের কাছে পরিবারের আর্জি, ''মেরে ফেললে দেহ অন্তত দাও''

নিজস্ব প্রতিবেদন- ৩৮ দিন ধরে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ভারতীয় সেনা ও পুলিস তাঁকে তন্ন তন্ন করে খুজে চলেছে। কিন্তু ভারতীয় সেনার জওয়ান শাকির মনজুরের কোনো হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। রিঝিপোরার বাসিন্দা ওই জওয়ানের গাড়ি জ্বলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ। ৩৮ দিন পরও তাঁর কোনও খোঁজ নেই। এদিকে, পরিবারের লোকজন ধরেই নিয়েছেন, তাঁদের সন্তান আর জীবিত নেই। সেনা ও পরিবার নিশ্চিত যে তাঁকে জঙ্গিরা অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল। তবে তিনি বেঁছে আছেন কি না তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

২ অগাস্ট কাশ্মীরের কুলগাঁওতে শাকিরের গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল কেউ বা কারা! তার পর ৫ অগাস্ট শোপিয়ার লনধরা এলাকায় তাঁর জামা-কাপড়ের ছেঁড়া টুকরো পেয়েছিলেন সেনা জওয়ানরা। এর পর থেকে আশেপাশের ৬০ কিলোমিটার এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছিল নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু শাকিরের খোঁজ পাওয়া যায়নি। শাকিরকে অপহরণের পর কেউ বা কারা একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল করে দেয়। সেই অডিও ক্লিপে একজন নিজেকে জঙ্গি দলের সদস্য বলে দাবি করে। সে জানায়, শাকিরকে অপহরণের পর তারা খুন করেছে। শাকিরের মৃতদেহ অজ্ঞাত স্থানে পুঁতে দেওয়া হয়েছে বলেও জানায় সেই ব্যক্তি। এর পর থেকেই শাকিরের পরিবারের লোকজন তাঁকে জীবিত ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছে। তবে পরিবারের তরফে জঙ্গিদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, শাকিরকে মেরে ফেললেও যেন তাঁর মৃতদেহ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যাতে তাঁরা শাকিরকে শেষ বিদায় জানাতে পারেন!

আরও পড়ুন-  ''আমাদের অপারেশন কিন্তু চলছে'', বিজেপি, কংগ্রেস নেতাদের হুমকি চিঠি হিজবুলের

এদিকে, কুপওয়াড়া জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখার সামনে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। পাক রেঞ্জার্সরা সেই মহিলার দেহ ভারতীয় সেনার হাতে সঁপে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, সেই মহিলার নাম খেরু নিশা। লেহ-র সেই মহিলা দিনকয়েক আগে বাড়ির সামনে একটি নালায় ডুবে গিয়েছিলেন। গত কয়েকদিন ধরেই তাঁর খোঁজ করছিলেন বাড়ির লোক। শেষমেশ নিয়ন্ত্রণরেখার সামনে তাঁর মৃতদেহ পায় পাক রেঞ্জার্সরা। 

.