KGF-ই কাল, সিনেমার নকলেই ৫ খুন কিশোর সিরিয়াল কিলারের!
কেন তিনি শুধু ঘুমন্ত নিরাপত্তারক্ষীদের টার্গেট করেছিলেন তা পুলিস এখনও নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি বলে সূত্রের খবর। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা গিয়েছে যে, ধ্রুব সিনিয়র পুলিস অফিসারদের বলেন যে তিনি কেবল 'বিখ্যাত' হতে চেয়েছিলেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মধ্যপ্রদেশের সাগর শহরে তিন নিরাপত্তারক্ষীকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার এখানে একজন সিনিয়র পুলিস কর্তা এই খবর জানিয়েছেন। সাগর পুলিসের ডিরেক্টর জেনারেল অনুরাগ জানিয়েছেন, ‘এলাকার সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে, আমরা অভিযুক্ত শিবপ্রসাদ ধ্রুবকে ভোরবেলা ভোপাল থেকে গ্রেফতার করেছি। আমাদের তদন্ত চলছে’। পুলিসের মতে, অভিযুক্ত গত পাঁচ দিনে চার জন প্রহরীকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে। এর পাশাপাশি গত মে মাসে মৃত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া আরেক প্রহরী হত্যার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে অভিযুক্তের নাম শিবপ্রসাদ ধ্রুব। তার বয়স ১৯ বছর। সে সাগরের কেসারি এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
ভোপালের লাল ঘাটি এলাকায় এক রক্ষীকে হত্যার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময়, ধ্রুব পুলিস অফিসারদের বলেন যে তিনি কেজিএফ-এর 'রকি ভাই' থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছে। টাকা জোগাড় করে একজন গ্যাংস্টার হওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর এবং ভবিষ্যতে পুলিসেকে টার্গেট করারও পরিকল্পনা করেন তিনি।
বিখ্যাত হওয়ার ইচ্ছা:
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা গিয়েছে যে, ধ্রুব সিনিয়র পুলিস অফিসারদের বলেন যে তিনি কেবল 'বিখ্যাত' হতে চেয়েছিলেন।
তবে কেন তিনি শুধু ঘুমন্ত নিরাপত্তারক্ষীদের টার্গেট করেছিলেন তা পুলিস এখনও নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি বলে সূত্রের খবর। ধ্রুবকে পুলিসের একটি ত্রিভুজ দল গ্রেফতার করে। তার মোবাইল ফোন ট্রেস করে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। যে মোবাইল ফোনটির কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা অন্য একজন নিরাপত্তারক্ষীর, যাকে তিনি এই সপ্তাহে সাগরে খুন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: Lufthansa flight cancellation: বাতিল ২ বিমান, দিল্লি বিমানবন্দরে আটকে ৭০০ যাত্রী
তার প্রথম হত্যা প্রচেষ্টার পড়ে কিছুদিন তিনি শান্ত ছিলেন। তিনি দাবি করেন যে তিনি মহারাষ্ট্রের পুনেতে হত্যা করেন এবং পরেরটি মধ্যপ্রদেশের সাগরে করেন।
কী ঘটেছিল?
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে ৭২ ঘণ্টায় সাগরে পৃথক ঘটনায় তিন নিরাপত্তারক্ষীর খুনের ঘটনায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মোট চার নিরাপত্তারক্ষীর ওপর হামলা হয়। তাদের মধ্যে তিনজন মারা গেলেও একজনকে ভোপালের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রথম ঘটনাটি মে মাসে রিপোর্ট করা হলেও, দ্বিতীয়টি ঘটেছে সোমবার এবং তৃতীয় এবং চতুর্থটি মঙ্গলবার করা হয়েছিল।
প্রথম আক্রান্ত হন উত্তম রাজাক। শম্ভুশরণ দুবে এবং কল্যাণ লোধি যথাক্রমে সোমবার এবং মঙ্গলবার নিহত হন। মঙ্গল আহিরওয়ার মাথায় আঘাত নিয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিস লক্ষ্য করে যে প্রতিটি আক্রমণ রাতের শেষের দিকে সংঘটিত হয় এবং বাড়ির অথবা বিল্ডিংয়ে ঘুমানোর সময় আক্রমণ করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত দুজনকে একই ব্যক্তি খুন করেছে বলে মনে হচ্ছে।