রেলের সম্পত্তি নষ্ট করতে দেখলেই গুলি করে মারা উচিত, মন্তব্য রেল প্রতিমন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের নিন্দা করেছেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী তাপস রায়। তিনি বলেন, 'এটা মন্ত্রীর মন্তব্য বলে মনে হচ্ছে না। ভাঙচুরের যেমন নিন্দা করি তেমনই নিন্দা করি এই বয়ানের।'
নিজস্ব প্রতিবেদন: রেলের সম্পত্তি দেখলে পুলিসকে সরাসরি গুলি চালানোর নির্দেশ দিলেন রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গদি। মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এই বিতর্কিত বয়ান দেন তিনি।
রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই জ্বলছে অসম। পশ্চিমবঙ্গেও বিভিন্ন জায়গায় রেল স্টেশন ও কেবিনে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। জ্বলেছে একের পর এক স্টেশন, রেলের কামরা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৩০০ কোটি পার করেছে বলে দাবি বিজেপির।
CAA বাতিলের দাবিতে রাইসিনা হিলসে সনিয়ার নেতৃত্বে বিরোধীরা
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিকেলে রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গদি বলেন, 'সময়মতো ট্রেন চালাতে, স্টেশন পরিচ্ছন্ন রাখতে আমার ১৩ লক্ষ কর্মী দিনরাত কাজ করছেন। বিরোধীদের মদতপুষ্ঠ কিছু সমাজবিরোধী দেশের অর্থনীতিকে অস্থির করতে অকারণে সমস্যা তৈরি করছে। আমি জেলা প্রশাসন ও রেল পুলিসকে বলব, কেউ রেল বা অন্য কোনও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করতে এলে সরাসরি গুলি করুন। কারণ এগুলো করদাতাদের টাকায় তৈরি সম্পত্তি। একটা ট্রেন তৈরি করতে কয়েক বছর সময় লাগে। কেউ তাতে পাথর ছুড়লে বা আগুন লাগানোর চেষ্টা করলে বল্লভভাই পটেলের মতো কড়া ব্যবস্থা নেও উচিত।'
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের নিন্দা করেছেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী তাপস রায়। তিনি বলেন, 'এটা মন্ত্রীর মন্তব্য বলে মনে হচ্ছে না। ভাঙচুরের যেমন নিন্দা করি তেমনই নিন্দা করি এই বয়ানের।'
#WATCH Union Min of State of Railways, Suresh Angadi speaks on damage to properties. Says "...I strictly warn concerned dist admn&railway authorities, if anybody destroys public property, including railway, I direct as a Minister, shoot them at sight..." #CitizenshipAmendmentAct pic.twitter.com/VeUpZY7AjX
— ANI (@ANI) December 17, 2019
মন্ত্রীর বক্তব্যের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর যুক্তি, 'সরকারি সম্পত্তি বাঁচাতে সিপিএম তার জোটশরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মীদের গুলি করে মেরেছে। তাহলে এক্ষেত্রে পুলিস সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় গুলি চালাবে না কেন?'
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যে সাম্প্রতিক ছড়ানো হিংসায় এই মন্তব্য উত্তাপ আরও বাড়াবে। তাতে রাজনৈতিক নেতারা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাধারণ মানুষ।