Delhi: গ্যাং লিডারের কেমোর খরচ তুলতে শাকরেদরা করে গেলেন পরের পর গাড়ি চুরি! তারপর?
Gang Steals Cars to Pay for Leader’s Chemotherapy: রঘু ডাকাত বা রবিনহুডের গল্প তো সবাই জানেন। শোনা যায়, এরা বড়লোকের থেকে ধনসম্পত্তি অপহরণ করে গরিবদের মধ্য বিলিয়ে দিত। সম্প্রতি এমন খবর প্রকাশ্যে এসেছে, যা নিয়ে চমকেছে সকলে। আপাত ভাবে দুষ্কার্য হলেও যারা এটা ঘটিয়েছে তাদের যেন ঠিক 'দুষ্কৃতী' বলে দাগিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কেন?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রঘু ডাকাত বা রবিনহুডের গল্প তো সবাই জানেন। শোনা যায়, এরা বড়লোকের থেকে ধনসম্পত্তি অপহরণ করে গরিবদের মধ্য বিলিয়ে দিত। সেই অর্থে এরা ছিল গরিবের ভগবান। তাই যারা শুধু নিজেদের কারণে ডাকাতি-রাহাজানি করে তাদের বেশ নীচু নজরেই দেখা হয়, তাদেরকে ক্রিমিন্যাল হিসেবেই দাগিয়ে দেয় সমাজ। স্বাভাবিকই সেটা। কিন্তু যদি এর অন্যথা হয়? সম্প্রতি তেমনই এক অন্যরকম দুষ্কৃতীর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে চমকে উঠছে সকলে। আপাত ভাবে দুষ্কার্য হলেও যারা এটা ঘটিয়েছেন তাদের যেন ঠিক 'দুষ্কৃতী' বলে দাগিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কেন?
আরও পড়ুন: দশকের ফেসবুক প্রেম, সুইডেন থেকে ভারতে এসে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন বিদেশিনী!
তাহলে পুরো গল্পটা একটু সংক্ষেপে জানতে হয়। গ্যাংলিডারের কেমোথেরাপি চলছে। তার হাতে নিজের চিকিৎসা করানোর মতো টাকা নেই। তার চিকিৎসার খরচ তোলার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে তার শাকরেদরা। এজন্য তারা একের পর এক গাড়ি চুরি করতে শুরু করেছে। এইভাবে তারা মাত্র ১ মাসে ২০টি গাড়ি চুরি করে ফেলেছে!
ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে। দিল্লি পুলিস বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছে। ওই দলটির অন্ততপক্ষে ১০ লাখ টাকা জোগাড় করতেই হত। কেননা তাদের দলপতি অসুস্থ, তার কেমোথেরাপি এবং ব্লাড ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট চলছে। দিল্লিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি সে। সেই চিকিৎসার খরচ তুলতেই তার শাকরেদরা গাড়ি চুরি করে টাকা জোগাড়ের রাস্তা বেছে নেয়। গাড়িগুলি হাতিয়ে নিয়ে তারা দিল্লির বাইরের এক গোডাউনে গিয়ে গাড়ির পার্টস সব খুলে ফেলত তারপর সেগুলি স্ক্র্যাপ মার্কেটে বেচে দিত। চক্রটির হদিশ জানার পরে পুলিস গোটা দলটিকে গ্রেফতার করে।
দিল্লির সড়ক-অঞ্চল থেকে গাড়ি চুরি গত ১ মাসে অত্যধিক বেড়ে যায়। তখনই পুলিসের টনক নড়ে। তারপর থেকেই পুলিস তদন্তে নেমে পড়ে। গাড়ি-চুরি-যাওয়া স্পট থেকে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে তা খতিয়ে দেখা হয়। অন্তত ২০০টি ক্য়ামেরা স্ক্যান করে পুলিস নিশ্চিত হয় যে, একটা নির্দিষ্ট দলই এই কাজ করে চলেছে। তখনই পুলিস ম্যানুয়াল ইনটেলিজেন্স ব্যবহার করে দিল্লির বাইরের ওই গোডাউনে হাতে-নাতে ধরে ফেলে দুষ্কৃতীদের। গ্রেফতার করা হয় লাকি, সফিক, মজিম আলি, রাম সঞ্জীবন-- এই চারজনকে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আরও কেউ এই চক্রে জড়িত কিনা, থাকলে ক'জন এবং কারা।
যার চিকিৎসার খরচ তোলার জন্য এই গ্যাংটি টানা গাড়ি চুরি করছিল তার নাম আশিস ওরফে আশু। গ্যাংলিডার আশিসকে এই মুহুর্তে আটক,জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতারি করছে না পুলিস। এর দুটি কারণ-- প্রথমত আশু এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, দ্বিতীয়ত আশুকে সরাসরি দুষ্কার্যে জড়িত দেখা যায়নি বা আগেকার কোনও ঘটনার জেরে তার নামে কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানার ইতিহাসও নেই।