সত্যিই কি ঘণ্টায় ১৮০ কিমি গতি ট্রেন-১৮-এর? দেখুন চালকের কেবিনের ভিডিও
প্রতিটি পরীক্ষামূলক দৌড়ে নিয়ম করে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলছে দেশের প্রথম ইঞ্জিনহীন সেমি হাইস্পিড, ট্রেন-১৮। রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল একটি ভিডিও টুইট করে সে খবর দিয়েছিলেন। তারপর থেকে প্রতিটি পরীক্ষামূলক দৌড়ে ট্রেনের গতির কাঁটা উঠছে ১৮০-র ঘরে। গতির নিরিখে রাজধানী ও শতাব্দীকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ট্রেন-১৮।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিটি পরীক্ষামূলক দৌড়ে নিয়ম করে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলছে দেশের প্রথম ইঞ্জিনহীন সেমি হাইস্পিড, ট্রেন-১৮। রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল একটি ভিডিও টুইট করে সে খবর দিয়েছিলেন। তারপর থেকে প্রতিটি পরীক্ষামূলক দৌড়ে ট্রেনের গতির কাঁটা উঠছে ১৮০-র ঘরে। গতির নিরিখে রাজধানী ও শতাব্দীকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ট্রেন-১৮।
ট্রেন-১৮ কি সত্যিই ১৮০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টায় দৌড়চ্ছে? তা নিয়ে অনেকের মনেই উঠেছে প্রশ্ন। এবার চালকের কেবিন থেকে ভিডিও টুইট করলেন পীযূষ গোয়েল। আর তাতে দেখা যাচ্ছে, গতির কাঁটা ১৮০-র ঘরে।
Need for Speed: Train 18 seen cruising at a sustained 180Km/h, officially becoming the fastest train in India pic.twitter.com/2VNF1U3qrl
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) December 26, 2018
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী থেকে দিল্লি পর্যন্ত চলবে ট্রেন-১৮। সবুজ পতাকা দেখিয়ে ট্রেনের যাত্রাপথের সূচনা করবেন নমো। বর্তমানে বারাণসী থেকে দিল্লি যেতে ১২ থেকে ১৭ ঘণ্টা লাগে। কিন্তু ট্রেন-১৮ সেই দূরত্ব অতিক্রম করবে মাত্র ৮ ঘণ্টায়। খুব কম স্টেশনে দাঁড়াবে ট্রেন-১৮। নয়াদিল্লির পর গাজিয়াবাদ, কানপুর, প্রয়াগরাজে থামবে। তারপর সোজা বারাণসী।
আরও পড়ুন- বেকার ও গরিবদের অ্যাকাউন্টে মাসের শেষে টাকা, বাজেটেই বড় ঘোষণা!
বিদেশের ট্রেনের মতো সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ট্রেন-১৮-এ। এই ট্রেনে আলাদা করে ইঞ্জিন জোড়ার ব্যবস্থা নেই, একবারে লোকাল ট্রেনের মতো। তবে এখনই উচ্চগতিতে চালানো হবে না। কারণ, দ্রুতবেগে ট্রেন চালাতে গেলে রেললাইনের ধারে পরিখা দিতে হবে। সেই কাজ সমাপ্ত হলেই গতি বাড়বে ট্রেন-১৮-এর।
মেক ইন্ডিয়া কর্মসূচির আওতায় চেন্নাইয়ে রেলের কারখানায় সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে ট্রেন-১৮। মাত্র ১৮ মাসের মধ্যেই তৈরি হয়েছে এই ট্রেন। শতাব্দী এক্সপ্রেসের পরিবর্তে আনা হচ্ছে ‘ট্রেন ১৮’। বাড়তি কী সুবিধা থাকছে ইঞ্জিন বিহীন ট্রেনটির? ‘সেল্ফ প্রপলেড ইঞ্জিনলেস’ ট্রেনটি শতাব্দী এক্সপ্রেসের থেকে ১৫ শতাংশ কম সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছবে। এমনকি ব্রেক কষার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ বিদ্যুত খরচ কম করবে ট্রেনটি। মোট ১৬টি কামরার ১১২৮টি আসন রয়েছে। এখন সবকটি ‘চেয়ার কার’। পরবর্তীকালে বেশ কিছু কামরা স্লিপার ক্লাসে রূপান্তরিত করা হবে। জানা যাচ্ছে রাজধানী এক্সপ্রেসে পরিবর্তে এমনই ‘ইন্টারসিটি ইলেক্ট্রিক মাল্টিপল ইউনিট’ ট্রেন আনা হবে।