ট্রেনচালকের জবানবন্দিতে স্পষ্ট আত্মহত্যাই করেছিলেন পরস
নাটকীয় মোড় নিল পরস ভাসিন মৃত্যুরহস্য। সোমবার দিল্লি পুলিসের কাছে পয়লা সেপ্টেম্বর (যেদিন পরসের মৃত্যু হয়েছিল) রেল লাইনের ওপর এক ব্যক্তিতে ধাক্কা দেওয়ার কথা জানান এক ট্রেন চালক। শুধু তারিখই নয়। তাঁর উল্লেখ করা সময় এবং স্থানের সঙ্গেও হুবুহু মিলে গেছে পরসের মৃত্যুর ঘটনাস্থল এবং আনুমানিক সময়।
নাটকীয় মোড় নিল পরস ভাসিন মৃত্যুরহস্য। সোমবার দিল্লি পুলিসের কাছে পয়লা সেপ্টেম্বর (যেদিন পরসের মৃত্যু হয়েছিল) রেল লাইনের ওপর এক ব্যক্তিতে ধাক্কা দেওয়ার কথা জানান এক ট্রেন চালক। শুধু তারিখই নয়। তাঁর উল্লেখ করা সময় এবং স্থানের সঙ্গেও হুবুহু মিলে গেছে পরসের মৃত্যুর ঘটনাস্থল এবং আনুমানিক সময়। দুর্ঘটনা যখন ঘটে, তখন ওই ব্যক্তি লাইনের ওপর একা ছিলেন বলে জানিয়েছেন ট্রেন চালক। পরসের মৃত্যুর পরই তাঁর শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছিল পরসের পরিবার। তদন্তও এগোচ্ছিল সেই পথেই। সোমবার ট্রেন চালকের জবানবন্দি প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিল তদন্তের মোড়।
গত ৫ সেপ্টেম্বর পরসের স্ত্রী শেলি দীর্ঘ দু`পাতার একটি সুইসাইড নোট পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। পুলিসি জেরার মুখে শেলি জানিয়েছিলেন, তাঁরা দুজনেই একসঙ্গে আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই মতোই পরসের মৃত্যুর কিছুদিন আগে দু`জনে মিলে সুইসাইড নোটটি লেখেন। তবে শেলির বক্তব্য সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছিলেন পরসের মা নিনা ভাসিন। সোমবার ট্রেন চালকের জবানবন্দির পর থেকেই ফের জোরালো হতে শুরু করেছে আত্মহত্যার তত্ত্ব।
চার মাস আগে শেলি মিত্তলকে লুকিয়ে বিয়ে করেছিলেন পরস ভাসিন। শুরু থেকেই বাড়ির আপত্তি থাকায় বিয়ের পরও নিজের বাড়িতেই থাকতেন শেলি। পরসের ভাইয়ের বয়ান অনুযায়ী, গত ২৪ অগাস্ট হঠাত্ই বিয়ের কথা বাড়িতে জানান শেলি। ২৯ অগাস্ট শেলির বাবার সঙ্গে দেখা করে পরস। ঠিক তার দুদিন পর ১ সেপ্টেম্বর পূর্ব দিল্লির রেললাইনের ধার থেকে পরস ভাসিনের দেহ উদ্ধার করে পুলিস।