ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি

অবশেষে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হল বহু প্রতীক্ষিত বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি ও ভিসা সরলীকরণ চুক্তি। সোমবার ঢাকায় একটি হোটেলে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্দে ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীর। এই চুক্তির ফলে উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারটি অনেকটাই সহজ হবে বলে মনে করছে ভারত। তবে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী বা বন্দিদের ক্ষেত্রে এই চুক্তি কার্যকর হবে না বলে জানানো হয়েছে।   

Updated By: Jan 29, 2013, 08:48 AM IST

অবশেষে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হল বহু প্রতীক্ষিত বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি ও ভিসা সরলীকরণ চুক্তি। সোমবার ঢাকায় একটি হোটেলে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্দে ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীর। এই চুক্তির ফলে উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারটি অনেকটাই সহজ হবে বলে মনে করছে ভারত। তবে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী বা বন্দিদের ক্ষেত্রে এই চুক্তি কার্যকর হবে না বলে জানানো হয়েছে।   
গত বৃহস্পতিবার বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির খসড়ায় ভারত  অনুমোদন দিলেও সোমবার সকালে চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দেয় বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা।  খুন, পরিকল্পিত হত্যা, সন্ত্রাসসহ অন্যান্য গুরুতর অপরাধ এই চুক্তির আওতায় আসবে। যদিও একবছরের কম মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা এই চুক্তির আওতায় আসবেন না। এমনকী রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী বা বন্দিদের ক্ষেত্রে এই চুক্তি কার্যকর হবে না বলেও জানানো হয়েছে। ছমাসের নোটিশে এই চুক্তি বাতিল করতে পারবে দুদেশের মধ্যে যে কেউ। এই চুক্তির ফলে উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ফিরিয়ে আনা অনেকটাই সহজ হবে বলে মনে করছে ভারত। 
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ১৯৯৭-এ বাংলাদেশে গ্রেফতার হন  অনুপ চেটিয়া । সাজার মেয়াদ শেষ হলে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে বাংলাদেশের  সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন চেটিয়া। বিষয়টি এখনও  সুপ্রিমকোর্টের  বিবেচনাধীন। ফলে এখনই এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবেনা বাংলাদেশ সরকার। তবে সুপ্রিমকোর্টের কাছ থেকে নির্দেশ পেলেই চেটিয়াকে ভারতে ফেরানোর ব্যাপারে সরকার উদ্যোগী হবে বলে জানিয়েছেন মহিউদ্দীন খান আলমগীর। 
এই চুক্তির ফলে সুব্রত বাইন ও সাজাদ হোসেনের মত সন্ত্রাসবাদীদেরও দেশে ফেরাতে পারবে বাংলাদেশ।
সোমবার দুদেশের ভিসা সরলীকরণ নিয়েও একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে এবার থেকে সর্বোচ্চ ছমাসের বদলে একবছরের জন্য ভারত ভ্রমণের ভিসা পাবেন বাংলাদেশী পর্যটকেরা। যার মাধ্যমে বছরে একাধিকবার ভ্রমণ করা যাবে। আর ভারতে  চিকিতসার জন্য ভ্রমণের ক্ষেত্রে  রোগীর সঙ্গে যেতে পারবেন তিনজন। এর আগে রোগীর সঙ্গে কেবলমাত্র একজনই আসতে পারতেন ভারতে। শিক্ষার্থীরা তাদের পুরো মেয়াদ এক ভিসায় শেষ করতে পারবেন এই চুক্তির ফলে।
 

.