সিপিএমের আত্মসমর্পণ ও কংগ্রেসের পলায়নই ত্রিপুরায় এই ফলের জন্য দায়ী: মমতা
ত্রিপুরায় বিজেপির জয়ের পেছনে সিপিএমের আত্মসমর্পণের পাশাপাশি কংগ্রেসের ব্যর্থতাকেই দায়ী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিপুরায় বিজেপির জয়ের পেছনে সিপিএমের আত্মসমর্পণের পাশাপাশি কংগ্রেসের ব্যর্থতাকেই দায়ী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আড়াই দশক পর ত্রিপুরায় শাসন ক্ষমতা থেকে সরে গেল সিপিএম। তবে এতে 'উত্ফুল্ল হওয়ার কিছু দেখছেন না' পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো। শনিবার সীতারাম ইয়েচুরির কথাই যেন প্রতিধ্বনীত হয়েছে মমতার কণ্ঠে। তিনি বললেন, সিপিএম ওখানে ৪৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। বিজেপি পেয়েছে ৫০ শতাংশ ভোট। ফলে তফাত খুবই কম। এখন কংগ্রেস যদি উদ্যোগ নিত, তাহলে এই ফল হতো না।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় নোটার চেয়েও কম ভোট পেল তৃণমূল
ত্রিপুরায় পিসিএমের শোচনীয় ফলাফলের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এদিন মমতা বলেন, উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলি জিততে বিজেপি কেন্দ্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করেছে এবং জলের মতো ঢাকা ঢালেছে। সিপিএম-এর কোনও প্রতিবাদ করেনি, বরং আত্মসমর্পণ করেছে।
ত্রিপুরায় এতদিন সিপিএম ক্ষমতায় রয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার একটা ব্যাপার রয়েছে বলেও মনে করেন মমতা। পাশাপাশি তিনি এও জানান যে, রাহুল গান্ধীকে টিএমসি ও পাহাড়ের দলগুলিকে নিয়ে একযোগে লড়াই করার আহ্বানও জানিয়েছিলেন তিনি। একটা সিট শেয়ার করার কথাও বলা হয়েছিল বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। এ জন্য কংগ্রেস- ৩০, তৃণমূল- ১৪ ও ১৬টি আসনে পাহাড়ের দলগুলিকে নিয়ে লড়ার বিকল্প সূত্রও দেওয়া হয়েছিল বলেও তাঁর দাবি। কিন্তু কংগ্রেস সেই সূত্র মানেনি বলে জানান মমতা। তৃণমূল নেত্রীর আক্ষেপ, আজ সেই প্লাটমর্ফটা তৈরি হলে বিজেপি হালে পানি পেত না। এরপরই মমতা বলেন, "কার কথা শুনে ওরা আমার কথা শোনেনি তা জানি না। কংগ্রেস ওদের অক্সিজেনটা দিয়ে দিল। ওরা কত ভোট পেয়েছে একবার দেখুন।"
মমতা এদিন জানান, কেন্দ্রে যে-ই ক্ষমতায় থাকে, সে-ই ফোর্স ও সোর্স দিয়ে রাজ্যগুলিকে দখল করতে চায়। এবার বাইরের লোক ও ফোর্স নিয়ে গিয়ে অনেক কিছু করা হয়েছে। কিন্তু, সিপিএম কেন এর প্রতিবাদ করল না তা জানতে হবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।