ষষ্ঠ দফায় ভোট পড়ল ৬০ শতাংশ
পাঁচ পর্যায়ের ভোটের পর লখনউয়ের মসনদে পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের ১৩ জেলার ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ পর্বে ভোট পড়ল ৬০ শতাংশ।
পাঁচ পর্যায়ের ভোটের পর লখনউয়ের মসনদে পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের ১৩ জেলার ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ পর্বে ভোট পড়ল ৬০ শতাংশ। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের 'জাঠ হৃদয়পুর' হিসেবে পরিচিত আগ্রা, মথুরা, বাগপত, মহামায়ানগর, সাহারানপুর, মিরাট, গাজিয়াবাদ, পঞ্চশীল নগর, গৌতম বুদ্ধ নগর, বুলন্দশহর, আলিগড়, মুজফ্ফরনগর এবং প্রবুদ্ধনগর জেলার ৬৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হল এই পর্যায়ে। ২২,১৩৭টি বুথে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন প্রায় ২ কোটি ১৭ লক্ষ ভোটদাতা। মোট প্রার্থী ১১০৩ জন।
নব্বইয়ের দশকে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ বিশেষত পশ্চিম-দোয়াব অঞ্চলে বিজেপি`র জনসমর্থন যথেষ্ট মজবুত ছিল। তবে ২০০৭ সালের বিধানসভা ভোটে এই অঞ্চলে চমকপ্রদ সাফল্য পেয়েছিল মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি। এবার কিন্তু ভাট্টা পারসৌল কাণ্ড এবং জমি অধিগ্রহণ ইস্যুতে যথেষ্ট বেকায়দায় বিএসপি। চিরাচরিত ভাবে জাঠ অধ্যুষিত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের জনভিত্তি যথেষ্ট দুর্বল। তবে এবার প্রয়াত চরণ সিংয়ের ছেলে অজিত সিংয়ের নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রীয় লোকদল(আরএলডি)-র সঙ্গে হাত মেলানোর ফলে ভাল ফলের আশা দেখছেন ২৪ আকবর রোডের নীতি নির্ধারকরা। অজিত সিংয়ের সাংসদ-পুত্র জয়ন্ত চৌধুরি নিজে মথুরার মাথ কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, বিজেপির পরিষদীয় দলের
উপনেতা হুকুম সিং, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রীয় ক্রান্তি দলের
প্রধান কল্যান সিংয়ের ছেলে রাজবীর সিং এবং বিএসপি`র প্রভাবশালী নেতা তথা
রাজ্যের বিদ্যুতমন্ত্রী রামবীর উপাধ্যায়। দিল্লির জামা ইমাম মৌলানা আহমেদ
বুখারির জামাই উমর আলি সাহারনপুর জেলার বেহত কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টির
টিকিটে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। অন্য দিকে এই জেলারই নাকুড বিধানসভা আসনে
কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন সদ্য সমাজবাদী পার্টিত্যাগী প্রভাবশালী
সংখ্যালঘু নেতা রশিদ মাসুদের ভাইপো ইমরান মাসুদ। এই কেন্দ্রে ইমরানের
প্রতিদ্বন্দ্বী মায়াবতী মন্ত্রিসভার বাহুবলী সদস্য ধরম সিং সাইনি।