দুই মহিলার শবরীমালায় প্রবেশ ঘিরে রণক্ষত্রে কেরল, গ্রেফতার ৭৫০
রাজ্যজুড়ে হাঙ্গামার জন্য মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন নিশানা করেছেন বিজেপি ও আরএসএসকে
নিজস্ব প্রতিবেদন: দুই মহিলার শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের খবর ছড়িয়ে পড়তেই রণক্ষেত্র হয়ে উঠল তিরুঅনন্তপুরম সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা।
বৃহস্পতিবার হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শবরীমালা কর্ম সমিতির ডাকা বনধে এমনিতেই থমথমে ছিল কেরল। মহিলাদের মন্দিরে ঢোকার খবর ছড়াতেই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সমর্থরা রাস্তায় বোমা লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেম পড়েন। ভাঙচুর করা হয় শিসক সিপিএমের একাধিক কার্যালয়। জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকানপাট।
আরও পড়ুন-কেরলে বনধের মধ্যেই গেরুয়াপন্থীদের বেদম প্যাঁদাল জনতা
উল্লেখ্য, এদিন কাকভোর বিন্দু ও কনকদুর্গা নামে দুই মহিলা শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেন। তাঁদের বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রেখে তার পর মন্দিরে নিয় যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, ওই দুই মহিলাকে পুলিস গাড়িতে চাপিয়ে রাতের অন্ধকারে মন্দিরের রাস্তায় নিয়ে যায়। পরে তারা জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করেন। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার এক মহিলাও এদিন মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করেন। তবে শশীকাল নামে ওই মহিলা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁকে শেষপর্যন্ত মন্দিরকে ঢুকে দেওয়া হয়নি।
এদিকে মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশকে ঘিরে বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির সমর্থকরা কোঝিকোড়, কান্নুর, মালাপুরম, পালাকাড ও তিরুঅনন্তপুরমে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। বাধ্য হয়েই পুলিস জলকামান ও লাঠিচার্জ করে। গোটা রাজ্যে আহত হয়েছে ৩০ পুলিস কর্মী। গ্রেফতার করা হয়েছে ৭৫০ জনকে।
আরও পড়ুন-দিল্লি কংগ্রেস প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা অজয় মাকেনের
রাজ্যজুড়ে হাঙ্গামার জন্য মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন নিশানা করেছেন বিজেপি ও আরএসএসকে। এদিন একটি গুজব ছড়িয়ে যায়, শবরীমালায় দুই মহিলাকে বিমানে চাপিয়ে মন্দিরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওই দুই মহিলাকে বিমানে পৌঁছে দেওয়া হয়নি। মন্দিরে যাওয়ার রাস্তাতেই তাঁরা সেখানে গিয়েছেন। তাদের কেউ বাধা দেয়নি। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি রাজ্যেকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে চাইছে।