মুখ্যমন্ত্রীকে বিদ্রুপকাণ্ড: জেএমএম-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র রাঁচি
মুখ্যমন্ত্রীকে বিদ্রুপকাণ্ডের জের। জেএমএম-বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল ঝাড়খণ্ডের রাজধানী। আজ রাজ্যে এসে জেএমএমের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র তোমরকে। তাঁকে কালো পতাকাও দেখানো হয়। আগামিদিনে আন্দোলন আরও তীব্র করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জেএমএম।
রাঁচি: মুখ্যমন্ত্রীকে বিদ্রুপকাণ্ডের জের। জেএমএম-বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল ঝাড়খণ্ডের রাজধানী। আজ রাজ্যে এসে জেএমএমের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র তোমরকে। তাঁকে কালো পতাকাও দেখানো হয়। আগামিদিনে আন্দোলন আরও তীব্র করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জেএমএম।
গত বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডে এক সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক মঞ্চে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর মতো একইভাবে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিদ্রুপের শিকার হন তিনি।
জেএমএমের তরফে তখনই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, এরপর প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কেউ রাজ্যে এলে তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে।
শনিবার কেন্দ্রীয় ইস্পাত ও খনি মন্ত্রী নরেন্দ্র তোমর রাঁচি পৌছলে তাঁকে পোহাতে হয়েছে সেই ক্ষোভের আঁচ। বিমানবন্দরের বাইরে আগে থেকেই কালো পতাকা হাতে জমা হয়েছিলেন জেএমএম সমর্থকরা। মন্ত্রী আসার পর তাঁকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান-বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপরই আচমকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। দুপক্ষের কর্মী-সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। জেএমএমের অভিযোগ, হামলা চালিয়েছে বিজেপি।
পুলিস পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করলেও উত্তেজনা ঠেকানো যায়নি। সংঘর্ষে আহত হন বেশ কয়েকজন জেএমএম সমর্থক।
ভবিষ্যতে আরও জোরদার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ক্ষুব্ধ জেএমএম।
বিক্ষোভ-অশান্তির মধ্যেই কোনওমতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়কে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা করে পুলিস। বিদ্রুপকাণ্ডের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত, ঝাড়খণ্ডে পা রাখলেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা।