নিজেকে নির্দোষ বলে ইস্তফা বীরভদ্রের

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে তত্‍পরতার মধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে ফের অস্বস্তিতে ইউপিএ সরকার। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আজ পদত্যাগ করলেন কেন্দ্রীয় অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পমন্ত্রী বীরভদ্র সিং।  প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ইস্তফাপত্র দিয়ে আসেন  তিনি। গতকালই ১৯৮৯ সালের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রী প্রতিভা সিংয়ের বিরুদ্ধে সোমবার চার্জ গঠন করেছিল সিমলার বিশেষ আদালত।

Updated By: Jun 26, 2012, 04:04 PM IST

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে তত্‍পরতার মধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে ফের অস্বস্তিতে ইউপিএ সরকার। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আজ পদত্যাগ করলেন কেন্দ্রীয় অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পমন্ত্রী বীরভদ্র সিং।  প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ইস্তফাপত্র দিয়ে আসেন  তিনি। গতকালই ১৯৮৯ সালের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রী প্রতিভা সিংয়ের বিরুদ্ধে সোমবার চার্জ গঠন করেছিল সিমলার বিশেষ আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনের ৭, ১১, ১৩ এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি(অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এরপরই বীরভদ্রের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয় বিজেপি। ১৯৮৯ সালে একটি অডিও সিডি-তে কথোপকথনের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ওই সিডিতে মহেন্দ্র লাল নামে এক আইএএস অফিসার এবং কিছু শিল্পপতির সঙ্গে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র এবং তাঁর স্ত্রীকে টাকাপয়সা লেনদেন নিয়ে কথা বলতে শোনা গিয়েছিল।
যদিও বীরভদ্র সিং তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগকেই সাজানো বলেছেন। তবে কংগ্রেস যাতে অস্বস্তিতে না পড়ে, সেজন্যই তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। পুরো ঘটনার পিছনে হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বকেও অন্যতম কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর ৫ মাস পরই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ৫ বার হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী বীরভদ্র এবারও এই পদের বড় দাবিদার। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা এবং প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী বিদ্যা স্টোকসের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী বীরভদ্রকে রাজনৈতিক বাণপ্রস্থে পাঠাতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। আর এ কাজে তাঁদের হাতিয়ার হয়েছে, ২৩ বছর আগের সিডি কেলেঙ্কারি। এই পরিস্থিতিতে আজ ইস্তফা দেওয়ার খবর জানিয়ে জনতার দরবারে বিচার চাওয়ার কথা বলে ৭৮ বছরের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর পাশাপাশি কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকেও চাপে ফেলতে চেয়েছেন বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

.