হামজাকে জেরা এনআইএ-র
২৬/১১ মুম্বই হামলার সময় করাচিতেই ছিল গোটা অপারেশনের কন্ট্রোলরুম। সেখানে বসেই আবু হামজার পাশাপাশি লস্কর কম্যান্ডার জাকিউর রহমান লখভি এবং আইএসআই-এর দুই মেজর- সামির আলি ও ইকবাল প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ রেখেছিল আজমল কসাভের সন্ত্রাসের দোসরদের সঙ্গে।
২৬/১১ মুম্বই হামলার সময় করাচিতেই ছিল গোটা অপারেশনের কন্ট্রোলরুম। সেখানে বসেই আবু হামজার পাশাপাশি লস্কর কম্যান্ডার জাকিউর রহমান লখভি এবং আইএসআই-এর দুই মেজর- সামির আলি ও ইকবাল প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ রেখেছিল আজমল কসাভের সন্ত্রাসের দোসরদের সঙ্গে। মঙ্গলবার দিল্লি পুলিসের জেরার মুখেই করাচির কন্ট্রোল রুমের কথা স্বীকার করেছিল আবু হামজা ওরফে আবু জিন্দাল ওরফে সৈয়দ জাবিউদ্দীন আনসারি। বুধবার এনআইএ-র অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদ-পর্বেও একই কথা কবুল করল মহারাষ্ট্রের বিড় জেলার এই জঙ্গি।
জেরার মুখে সে জানিয়েছে ২৬/১১'র ঘটনায় যুক্ত ১০ জন জঙ্গীকে ২০০৮-এর ২৬ থেকে ২৯ নভেম্বর যে ৬ জন প্রশিক্ষণ দেয় তাদের মধ্যে সে ছিল একজন। বস্তুত ১০ জঙ্গীকে আবু হামজাই হিন্দি শেখায়। তাকে জেরা করে আরও জানা গেছে যে কন্ট্রোল রুমে আইএসআই আধিকারিকরাও ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে কসাভ ও হামজাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে হামলা সম্পর্কে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছে এনআইএ।
বুধবারই আবু জিন্দল ওরফে আবু হামজাকে হেফাজতে নিতে চেয়ে আদলতে আবেদন করেছিল মুম্বই এটিএস। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ৫ জুলাই পর্যন্ত দিল্লি পুলিসের হেফাজতেই থাকবে আবু হামজা।
মঙ্গলবার সকালেই হামজা কে জেরা করে জানা যায় জঙ্গি হামলার নিশানায় ছিল লন্ডন অলিম্পিকও। দিল্লি পুলিস জানতে পারে অলিম্পিক চলাকালীন বিমান অপহরণ ও হোটেলে হামলার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। দুবাই ও সৌদি আরবে নেটওয়ার্কের তথ্যও পেয়েছেন গোয়েন্দেরা। আরও তথ্যের জন্য ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-ফাইভের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে দিল্লি পুলিস। সোমবারই ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দর থেকে আবু হামজাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিস। সে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলে দাবি পুলিসের। পাশাপাশি ২০০৬ সালের পর থেকে লস্কর-ই-তৈবারও সদস্য হয় এই আবু হামজা।
অন্যদিকে, ওড়িশা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে নাশকতার ছক কষছে লস্কর-এ-তৈবা। অসম গোয়েন্দা পুলিসের রিপোর্টে এমনই তথ্য মিলেছে। প্রশাসনের তরফে অসমের উপদ্রুত অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হামলা সংক্রান্ত তথ্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছেও। ওড়িশা সরকার ও অসম সরকারকে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সতর্কতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই রাজ্যের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।