ভিডিয়ো: প্রবল স্রোতের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সকে পথ দেখিয়ে হিরো ১২ বছরের খুদে
অনন্য সাহসিকতার নজির সৃষ্টি করে কর্ণাটকের রাইচুরের ছোট্ট গ্রামের ছেলে আজ সবার কাছে হিরো। বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের দিন ভেঙ্কটেশের সাহসিকতার জন্য তাকে পুরস্কৃত করল স্থানীয় প্রশাসন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মাত্র ১২ বছর বয়স। কিন্তু সাহস ও মানুষকে সাহায্য করার ইচ্ছার কাছে বয়স সংখ্যা মাত্র। সেই সাহস ও মানবিকতার কাছে হার মানল প্রকৃতির প্রতিকূলতা। অনন্য সাহসিকতার নজির সৃষ্টি করে কর্ণাটকের রাইচুরের ছোট্ট গ্রামের ছেলে আজ সবার কাছে হিরো।
লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কর্ণাটকের রাইচুর জেলার গ্রাম হীরেরায়ানাকুম্পি। জলস্ফীতির ফলে ভেসে উঠেছে গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা নদী। পাশের গ্রামে যাওয়ার সেতু তলিয়ে গিয়েছে নদীর জলে। হঠাত্ দেখলে বোঝার উপায় নেই যে সেই জলের তলায় লুকিয়ে আস্ত সেতু। ফলে হাসপাতালে যাওয়ার সময়ে নদীর সামনে এসে থমকে গিয়েছিল একটি অ্যাম্বুলেন্স। ভিতরে তখন ছয় জন অসুস্থ শিশু। জলের তলায় কোন জায়গায় ব্রিজ, তা বুঝতে পারছিলেন না অ্যাম্বুলেন্সের চালক।
আরও পড়ুন : ভিডিয়ো: মোদীর হাতে রাখি বেঁধে দিলেন পাকিস্তানি বোন, ছোটদের ভিড়ে মিশলেন নমো
ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রের এই সাহসিকতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। প্রশংসা করছেন গ্রামবাসীরাও। বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের দিন ভেঙ্কটেশের সাহসিকতার জন্য তাকে পুরস্কৃত করল স্থানীয় প্রশাসন। তার হাতে তুলে দেওয়া হল সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ একটি সার্টিফিকেট।
লাগাতার বন্যায় কর্ণাটকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ। প্রায় ১৫ জন ব্যক্তি নিখোঁজ। রাজ্যের ২২টি জেলা জুড়ে ১,০০০টি ত্রাণ শিবির খুলেছে কর্ণাটক সরকার।