বন্যায় জলমগ্ন গ্রাম, বাড়ির ছাদে রোদ পোহাল কুমির!

বাড়ির ছাদে বসে কুমিরের রোদ পোহানোর ভিডিয়ো পোস্ট করেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। দেখুন সেই ভিডিয়ো...

নিজস্ব প্রতিবেদন: এক টানা বৃষ্টিতে বন্যায় বিদ্ধস্ত কর্ণাটক, কেরল ও মহারাষ্ট্রের একাধিক জেলা। কর্ণাটকের প্রায় ১৭টি জেলার ১,০০০ গ্রাম বন্যায় বিপর্যস্ত। বন্যার জলে ঘর-বাড়ি হারিয়েছেন অনেকেই। তবে, শুধু যে মানুষই ভিটে হারিয়েছে তা নয়। ভিটেছাড়া বন্যপ্রাণীরাও। রবিবার বন্যায় পথভ্রষ্ট হয়ে ডুবে যাওয়া বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিল একটি কুমির। বাড়ির ছাদে বসে কুমিরের রোদ পোহানোর ভিডিয়ো পোস্ট করেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।

ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে একটি প্রায় ডুবে যাওয়া বাড়ির অ্যাসবেস্টাসের ছাদে বসে বিশালাকায় কুমির। কুমির দেখে তুমুল হই-হট্টগোলও করতে দেখা গেল উত্সাহী ব্যক্তিদের।

#WATCH A crocodile lands on roof of a house in flood-affected Raybag taluk in Belgaum. #Karnataka (11.09.19) pic.twitter.com/R5GxaDRMDL

— ANI (@ANI) August 12, 2019

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরীসৃপ হওয়ায় কুমির স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শরীর গরম রাখতে পারে না। তাই অনেকক্ষণ ঠান্ডা জলে থাকার পর কিছুক্ষণ জলের বাইরে রোদে জিরিয়ে নেয় কুমির। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নদীর পারে উঠে বিশ্রাম নেয় কুমির। কিন্তু, বন্যা পরিস্থিতিতে কোনও স্থল না পেয়ে বাড়ির ছাদেই আশ্রয় নেয় কুমিরটি।

কর্ণাটকে বন্যার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩০ জন ব্যক্তি। ঘরছাড়া প্রায় ২ লক্ষ মানুষ। শনিবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা জানান, রাজ্যের প্রায় ১৭টি জেলার ১,০০০ গ্রাম বন্যায় বিপর্যস্ত। উত্তর কর্ণাটকের জেলাগুলিতে লাগাতার বৃষ্টি ও বন্যার ফলে বিপুল ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রায় ৬,০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বন্যায়। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে রাজ্যের তিনটি জেলায় জারি করা হয়েচে রেড অ্যালার্ট। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও প্রশাসন।