বৃষ্টির ঘাটতিতে গোটা দেশজুড়েই চোখ রাঙাচ্ছে খরা পরিস্থিতি
এবছর গোটা ভারতেই বৃষ্টির ঘাটতির সম্ভাবনা প্রবল। জুন থেকে সেপ্টেম্বর ভরা বর্ষার সময় প্রয়োজনীয় বৃষ্টি অভাবে ধুঁকবে গোটা দেশ। জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর। জানালো এ বছর ৮৮% কম বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনার কথা। ফলে খরা আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এ কথা ঘোষণা করেছেন।
ওয়েব ডেস্ক: এবছর গোটা ভারতেই বৃষ্টির ঘাটতির সম্ভাবনা প্রবল। জুন থেকে সেপ্টেম্বর ভরা বর্ষার সময় প্রয়োজনীয় বৃষ্টি অভাবে ধুঁকবে গোটা দেশ। জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। জানালো এ বছর ৮৮% কম বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনার কথা। ফলে খরা আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এ কথা ঘোষণা করেছেন।
আগেই এপ্রিলে 'স্বাভাবিকের থেকে কম' বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা ঘোষণা করেছিল দ্য ইন্ডিয়ান মেটেরোলজিকাল ডিপার্টমেন্ট। তার আগে মার্চ-এপ্রিলের অকাল বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই বিপাকে পড়েছিলেন দেশের কৃষকরা। এখন এই খরা পরিস্থিতির ভ্রূকুটি মোদী সরকারের পক্ষেও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আসতে চলেছে।
এমনিতেই দেশের দক্ষিণ প্রান্তে বর্ষার আগমন বিলম্বিত। মাত্র চার-পাঁচ দিনের অসহ্য গরমে ইতিমধ্যেই সারা দেশে ২,০০০ জন মানুষের প্রাণ কেড়েছে। গত চার বছরে এই ধরণের ভয়াবহ খরা পরিস্থিতির সম্ভাবনা তৈরি হয়নি এ দেশে।
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেছেন ''চলুন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, প্রার্থনা করি যাতে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস সত্যি না হয়।''
এল নিনো-র দাপটে দেশের স্বাভাবিক আবহাওয়ার ছন্দ পতন হয়েছে। বার্ষিক বৃষ্টি গোটা দেশের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ, তা বারবার উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী।
এল নিনো-র প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বেড়েছে শুকনো হাওয়ার দাপট।
৯০% কম বৃষ্টিপাতের অর্থ সে বছরে খরার পথ নিশ্চিত করে।
কমেছে মুদ্রাস্ফীতি। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ বছর তৃতীয় বারের জন্য সুদের হার কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু, পরিমিত বৃষ্টি না হলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির হাল বেহাল হতে বেশি সময় নেবে না।
অত্যাবশকীয় জিনিসের দাম ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস সত্যি হলে অচিরেই জিনিসপত্র অগ্নিমূল্য হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে সরকার।
''কৃষকদের পক্ষে অত্যন্ত দুঃসংবাস, হত বছরই কম বৃষ্টিপাতের জেরে তাঁদের কম ভোগান্তি পোয়াতে হয়নি। এই বছর খরা দেখা দিলে কৃষকদের সমস্যা গভীরতর হবে।'' মন্তব্য করেছেন চিন্তিত কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী।