শিনা বোরা হত্যাকাণ্ড: কার নির্দেশে ছেঁড়া হয়েছিল এফআইআর কপি?
মৃত্যুর এক মাস পর শিনা বোরার পোড়া দেহ মিলেছিল পেন তালুক থেকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দায়ের করা হয়নি কোনও এফআইআর। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই মুম্বই পুলিসের হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, ওপর তলার নির্দেশেই সেবার এফআইআর দায়ের করেনি পুলিস।
ওয়েব ডেস্ক: মৃত্যুর এক মাস পর শিনা বোরার পোড়া দেহ মিলেছিল পেন তালুক থেকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দায়ের করা হয়নি কোনও এফআইআর। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই মুম্বই পুলিসের হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, ওপর তলার নির্দেশেই সেবার এফআইআর দায়ের করেনি পুলিস।
২৩ মে, ২০১২ পেন তালুক থেকে একটি অজ্ঞাত পরিচয় দেহ উদ্ধার হোয়ার পরেও পুলিস কেন কোনও এফআইআর দায়ের করল না সেই বিষয়ে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পেন থানার তত্কালীন পুলিস ইন্সপেক্টর সুরেশ মিরাগেকে। তারই বক্তব্য থেকে জানা গিয়েছে, এক উচ্চপদস্থ পুলিস অফিসার হস্তক্ষেপেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যায়নি পেন পুলিস। এমনকী, এফআইআর কপি তৈরি থাকলেও দায়ের করার আগে তার নির্দেশেই ছিঁড়ে ফেলা হয় বলেও জানা গিয়েছে।
সুরেশ ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে পেন থানার সাব-ডিভিশনাল পুলিস অফিসার প্রদীপ চৌহান, তত্কালীন সাব-ইন্সপেক্টর সন্দীপ ধান্দে ও রায়গড়ের তত্কালীন সুপারিন্টেনডেন্ট অফ পুলিস, বর্তমানে মুম্বই সেন্ট্রালের পুলিস কমিশনার রাওসাহেব শিন্দেকে। শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডের মিসিং লিঙ্কের তদন্তের ভার পডে়ছে রায়গড় পুলিসের সপারিন্টেনডেন্ট মহম্মদ সুভেজ হকের ওপর।
কী হয়েছিল ২৩ মে, ২০১২ তারিখে?
পেন তালুকে একটি আধপোড়া দেহ দেখতে পান এক স্থানীয় আম বিক্রেতা। পুলিস খুঁটিতে খবর দেন তিনি। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে অ্যাটপ্সি করে পুলিস ও ডাক্তারদের দল। পরে পরীক্ষার জন্য দেহাবশেষ মুম্বইয়ের জেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর আর কোনও রিপোর্ট পেশ করা হয়নি। প্রাথমিক সাক্ষ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করে একটি জেনারেল ডায়েরি করে পুলিস। কিন্তু কোনও এফআইআ। দায়ের করা হয়নি। এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি তদন্ত।
এই ঘটনার আগে ১ মাস আগ ২৪ এপ্রিল, ২০১২ শিনা বোরাকে খুন করে পেন তালুকেই তার দেহ জ্বালিয়ে দেন ইন্দ্রাণী মুখার্জি, সঞ্জীব খান্না ও শ্যাম রাই।