Denial of Sex and Cruelty: যৌন সম্পর্কে স্ত্রী-র অসম্মতি বৈবাহিক হিংসা: হাইকোর্ট
স্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে না। এমনই অভিযোগে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বামী। স্ত্রী-র পাল্টা অভিযোগ ছিল পণের টাকা নিয়ে সমস্যা চলছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিয়ের পর স্ত্রী-র যৌন সম্পর্কে ইচ্ছাকৃত অসম্মতি বৈবাহিক হিংসার সমান বলে ব্যাখ্যা করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। বিয়ের পর কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে পত্নীর ইচ্ছাকৃতভাবে যৌন সম্পর্ক অস্বীকার করাকে এদিন নিষ্ঠুরতার সমান বলেছে আদালত। বিয়ের ৩৫ দিন পর দিল্লি হাইকোর্টে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করে এক দম্পতি। সে মামলার রায় দিতে গিয়েই এমন কথা বলেছে আদালত।
আরও পড়ুন, India | Canada: কানাডার দাবি 'অবাস্তব', হরদীপ নিজ্জারের হত্যায় কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের
বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ, বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দেওয়ার পারিবারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে স্ত্রীর আপিল খারিজ করে। সে সময়ই হাইকোর্ট জানিয়েছে, 'যৌন সম্পর্ক ছাড়া বিয়ে করা নিন্দনীয়' এবং 'বিয়ের সম্পর্কে যৌন হতাশার চেয়ে মারাত্মক কিছু নেই'। বর্তমান মামলায় আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে, স্ত্রীর অনিচ্ছার কারণেই বিয়ে টেকেনি। স্ত্রী যদিও যৌতুকের জন্য তাকে হয়রানি করা হয়েছিল বলেই পুলিসে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। তবে সে বিষয়ে "কোনো জোরালো প্রমাণ" ছিল না বলেই খবর।
বেশ কিছু ক্ষেত্রে আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে, একজন স্বামী বা স্ত্রীর দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে যৌন সম্পর্ক অস্বীকার করা নিষ্ঠুরতার সমতুল্য। বিশেষ করে যখন তাঁরা নতুন বিবাহিত হয়। তাই এটি স্বতপ্রনোদিতভাবেই বিবাহবিচ্ছেদের অনুমোদনের একটি ভিত্তি। বিচারপতি নীনা বনসাল কৃষ্ণাও, ১১ সেপ্টেম্বরের এক আদেশে এমন রায় দেন। এটা উপেক্ষা করা যায় না যে ১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ধরনের বঞ্চনা মানসিক নিষ্ঠুরতার সমান।