কবে ফিরছে কালোটাকা, আশার বাণী শোনালেন মন্ত্রীমশাই
কালোটাকায় রাশ টানতে সুইত্জারল্যান্ড সরকারের সঙ্গে তথ্য বিনিময়ের চুক্তি করেছে ভারত সরকার। সেই চুক্তি মেনে চলতি বছর থেকে তথ্য দিতে শুরু করেছে সুইস সরকার। চুক্তি অনুসারে ২০১৯ অর্থবর্ষের শেষ হওয়ার আগে ভারতের হাতে সমস্ত তথ্য তুলে দেবে সুইস ব্যাঙ্কগুলি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘ মৌনতার পর কালোটাকা দেশে ফেরানো নিয়ে মুখ খুলল মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের দাবি, ২০১৯ অর্থবর্ষের শেষে ভারতের হাতে কালোটাকা সংক্রান্ত তথ্য তুলে দেবে সুইত্জারল্যান্ড সরকার।
এদিন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, 'আমাদের হাতে সমস্ত তথ্য আসতে চলেছে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা হবে।' সঙ্গে তার দাবি, 'আজ দেশের কারও আর বাইরে টাকা লুকিয়ে রাখার সাহস নেই। মোদী সরকারের কঠোর পরিশ্রমের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে।'
তবে গোয়েল সাহেবের এই দাবির সঙ্গে সুইস ব্যাঙ্কের প্রকাশিত তথ্য মিলছে না। বৃহস্পতিবারই সুইস সরকারের তরফে প্রকাশিত জানানো হয়েছে ২০১৭ সালে সুইস ব্যাঙ্কে জমা পড়া ভারতীয় টাকার পরিমান ৫০ শতাংশ বেড়েছে। গচ্ছিত টাকার পরিমান দাঁড়িয়েছে ১০১ কোটি সুইস ফ্রাঁ। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৭,০০০ কোটি টাকা।
কালোটাকায় রাশ টানতে সুইত্জারল্যান্ড সরকারের সঙ্গে তথ্য বিনিময়ের চুক্তি করেছে ভারত সরকার। সেই চুক্তি মেনে চলতি বছর থেকে তথ্য দিতে শুরু করেছে সুইস সরকার। চুক্তি অনুসারে ২০১৯ অর্থবর্ষের শেষ হওয়ার আগে ভারতের হাতে সমস্ত তথ্য তুলে দেবে সুইস ব্যাঙ্কগুলি। এর পরই কালোটাকার হদিশ পেতে কাজে নামছে ভারতীয় সংস্থাগুলি।
উত্তরাখণ্ডের মু্খ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বরখাস্ত শিক্ষিকা
২০১৪-র নির্বাচনী প্রচারে ক্ষমতায় এসেই বিদেশে গচ্ছিত কালোটাকা দেশে ফেরানোর অঙ্গীকার করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই লক্ষ্যে সরকার একাধিক পদক্ষেপ করলেও কাজেরকাজটা এখনো করে উঠতে পারেনি তারা। সামনেই ২০১৯ নির্বাচন। তার প্রচারে একে মোদীর বিরুদ্ধে হাতিয়ার করতে পারে বিরোধীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার আগেই কালোটাকা ফেরানোর কথা বলে বিরোধীদের হাতিয়ার ভোঁতা করার চেষ্টা করল সরকার। ২০১৯-এর মার্চে শেষ হবে চলতি অর্থবর্ষ। আর এপ্রিলেই নির্বাচন। সেক্ষেত্রে বিরোধীরা 'কালোটাকা কোথায়' বলে সরব হলে বিজেপি বলবে 'এই তো এল বলে'। সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, প্রধানমন্ত্রী বা অর্থমন্ত্রী থাকতে কেন কালোটাকা নিয়ে মুখ খুলতে হল রেলমন্ত্রীকে?