হাসপাতালে মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স, লকডাউনে মৃত সন্তানকে কোলে নিয়েই বাড়ি রওনা দিলেন মা
ওই ঘটনায় তোলপাড় গোটা জেলা। জেলা প্রশাসন, হাসপাতালের কয়েকজন চিকিত্সককে শো কজ নোটিস ধরিয়েছে, সাসপেন্ড করা হয়েছে হাসপাতালের ম্যানেজারকে
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে দেশজুড়েই চলছে লকডাউন। রকম অবস্থায় যাদের বাড়িতে অসুস্থ রোগী রয়েছেন তাদের কী অবস্থা ভাবুন একবার।
অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে নিজের তিন বছরের অসুস্থ সন্তানকে ঠিক সময় হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি বিহারের জেহানাবাদের এক গৃহবধূ। আবার হাসপাতাল থেকে মৃত সন্তানকে ঘরে আনার সময়েও পেলেন না কোনও গাড়ি। বাধ্য হয়ে মৃত সন্তানকে কোলে নিয়েই হাঁটতে শুরু করলেন মা।
আরও পড়ুন-গোষ্ঠী সংক্রমণের আতঙ্ক, ভাটপাড়াকে করোনা ‘হটস্পট’ ঘোষণার দাবিতে নমোকে চিঠি স্থানীয় সাংসদের
কয়েকদিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়ে জেহানাবাদ জেলার সেহাপুরের গিরেজ কুমারের তিন বছরের সন্তান। প্রবল জ্বর, সর্দি ও কাশি। গ্রামের ডাক্তারকে দেখিয়ে কোনও কাজ হয়নি। জেহানাবাদ যে নিয়ে আসবেন, কোনও গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়েই একটি টেম্পু ভাড়া করেন তিনি। ছেলেকে জেহানাবাদ জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু অবস্থা খারাপ থাকায় শিশুটিকে পটনা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। কিন্তু জেলা হাসপাতাল থেকে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যায়নিয ফলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
গিরেজের দাবি লকডাউনের জন্য কোনও গাড়ি পাওয়া যায়নি। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। ছেলে মৃতদেহ নিয়ে যে বাড়ি ফিরবেন তারও উপায় নেই। কোনও গাড়িই মেলেনি। ফলে মৃত ছেলেকে কোলে নিয়ে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হাঁটতে শুরু করেন ওই গৃহবধূ। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন-‘করোনা পরবর্তিতে প্রবল আর্থিক মন্দার মুখে পড়বে ভারত, সরকার সাহায্য চাইলে দেশে ফিরব’
ওই ঘটনায় তোলপাড় গোটা জেলা। জেলা প্রশাসন, হাসপাতালের কয়েকজন চিকিত্সককে শো কজ নোটিস ধরিয়েছে, সাসপেন্ড করা হয়েছে হাসপাতালের ম্যানেজারকে। তবে জেলা শাসক নবীন কুমারের দাবি, কী ভাবে এরকম ঘটনা ঘটল তা খোঁজ নিয়ে দেখছি। ওই ধরনের রোগীকে তো অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়ার কথা।