ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দিলেন মনমোহন

হাফিজ সইদ সহ মুম্বই সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এবিষয়ে ইসলামাবাদ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার ওপরই নির্ভর করবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতি-প্রকৃতি। রবিবার দিল্লিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে বৈঠকে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

Updated By: Apr 8, 2012, 09:46 AM IST

হাফিজ সইদ সহ মুম্বই সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এবিষয়ে ইসলামাবাদ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার ওপরই নির্ভর করবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতি। রবিবার দিল্লিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে বৈঠকে এই কড়া বার্তাই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। পাকিস্তানের মাটিতে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাস দমনে ইসলামাবাদকে উদ্যোগ নিতে হবে বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।    
পাক প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের ঠিক আগেই মার্কিন প্রশাসন জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদের মাথার দাম ঘোষণা করায় কূটনীতির লড়াইয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে যায় নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে সুযোগের সম্পূর্ণ সদব্যবহার করে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। রবিবার, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে তিনি বলেন, মুম্বই সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের কাঠগড়ায় তুলতেই হবে পাকিস্তানকে। ভারত-বিরোধী সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তার ওপরই ভারতীয়রা দুদেশের সম্পর্ক বিচার করেন। পাক প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে এই বার্তা দিয়েছেন বলে বিদেশসচিব রঞ্জন মাথাই জানিয়েছেন।
রবিবার, বৈঠক শেষে যৌথভাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী ও পাক প্রেসিডেন্ট। বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে ইতিবাচক কথা হয়েছে বলে জানান দুই নেতা। আলোচনার মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে বকেয়া সমস্যা সমাধানে জোর দেন তাঁরা।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে পাকিস্তান যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পাক প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রী সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। কূটনৈতিক স্তরে আলাপ-আলোচনার পর তাঁর পাকিস্তান সফরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে।
সন্ত্রাসের বিষয়টি গুরুত্ব পেলেও ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যান্য দিক নিয়ে আজ আলোচনা করেন মনমোহন সিং ও আসিফ আলি জারদারি। বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি, দুদেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর মতো বিষয়গুলিতে জোর দেন দুই রাষ্ট্রনেতা।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে বাণিজ্য যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তা দুদেশের মধ্যে নানা বৈঠকে বারবার আলোচিত হয়েছে। রবিবার, দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাক প্রেসিডেন্টের চল্লিশ মিনিটের বৈঠকেও বাণিজ্যিক সম্পর্কে গতি আনার ওপর জোর দেওয়া হয়।
দুদেশের নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোয়  গুরুত্ব দিয়েছেন দুই শীর্ষনেতা।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পাক প্রেসিডেন্ট সিয়াচেন, সারক্রিকের মতো ইস্যুগুলি তোলেন বলে বিদেশসচিব রঞ্জন মাথাই জানিয়েছেন।
সিয়াচেন হিমবাহে তুষারধসে আটকে পড়া পাক জওয়ানদের উদ্ধারে সাহায্যের কথা আসিফ আলি জারদারিকে জানান মনমোহন সিং। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তাঁর এই প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানান পাক প্রেসিডেন্ট।
এদিন বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ ৪০ জন প্রতিনিধি নিয়ে নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছন পাক প্রেসিডেন্ট। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পাক অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী রেহমান মালিক,  জারদারি পুত্র বিলাওয়াল জারদারি ভুট্টো, কন্যা আসিফা, উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

.