ভারত সফর সেরে দেশে ফিরলেন পাক প্রেসিডেন্ট
রবিবার, দিল্লি পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। পরে, মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন। মধ্যাহ্ন ভোজ সেরে আজমের শরিফে যান পাক প্রেসিডেন্ট। সেখান থেকেই ইসলামাবাদ রওনা হয়ে যান তিনি। আজমের শরিফে প্রার্থনা জানিয়ে দরগার উন্নয়নে দশ লক্ষ মার্কিন ডলার দিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি।
রবিবার, দিল্লি পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। পরে, মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন। মধ্যাহ্ন ভোজ সেরে আজমের শরিফে যান পাক প্রেসিডেন্ট। সেখান থেকেই ইসলামাবাদ রওনা হয়ে যান তিনি। আজমের শরিফে প্রার্থনা জানিয়ে দরগার উন্নয়নে দশ লক্ষ মার্কিন ডলার দিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি।
প্রায় সাত বছর পর ভারতে এলেন কোনও পাক প্রেসিডেন্ট। রবিবার, দুপুর বারোটা দশে দিল্লিতে বায়ুসেনার পালাম বিমানঘাঁটিতে এসে পৌঁছন আসিফ আলি জারদারি। তাঁকে স্বাগত জানান সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী পবন কুমার বনসল। জারদারির সঙ্গেই আসেন তাঁর ছেলে বিলাওল ভুট্টো জারদারি, পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক সহ চল্লিশ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
দিল্লিতে পা রাখার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাত নম্বর রেসকোর্স রোডে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আসিফ আলি জারদারি। দুই নেতার আলোচনায় গুরুত্ব পায় সন্ত্রাস ও হাফিজ সইদ প্রসঙ্গ। এরপর, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন পাক প্রেসিডেন্ট। সেখানেও উঠে আসে সন্ত্রাস ইস্যু। পাকিস্তানের আদালতের নির্দেশে হাফিজ সইদ বারবার ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে বলে মনমোহন সিংয়ের কাছে দাবি করেন জারদারি। প্রায় পঞ্চাশ মিনিটের মধ্যাহ্ন ভোজে উপস্থিত ছিলেন এল কে আদবানি, সুষমা স্বরাজ, রাহুল গান্ধী সহ একাধিক সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে, অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি সোনিয়া গান্ধী। রাহুল গান্ধীকে পাকিস্তান যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান বিলাওল ভুট্টো জারদারি। রাহুল গান্ধী সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্যেই পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিকের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। উঠে আসে পাকিস্তানের জেলে বন্দি ভারতীয় নাগরিক সরবজিত সিংয়ের প্রসঙ্গ।
এসবের মধ্যেই, পাক প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজমের শরিফে যেন তিনি দুদেশের মানুষের জন্যই প্রার্থনা জানান। প্রধানমন্ত্রীর কথায় সম্মতি জানান পাক প্রেসিডেন্ট। মধ্যাহ্ন ভোজ সেরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পবন কুমার বনসলের সঙ্গে জয়পুরে আজমের শরিফে যান তিনি। পুত্র বিলাওল ছাড়াও ছিলেন অন্য সফরসঙ্গীরা। তেরোশো শতাব্দীর সুফি সাধক মইনুদ্দিন চিস্তির দরগা আজমের শরিফে চাদর ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পাক প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রীর তরফে দরগায় চাদর দেন পবন কুমার বনসলও। আজমের শরিফে আসার অভিজ্ঞতা দরগার ভিজিটরস বুকে লিখে দিয়ে যান পাক প্রেসিডেন্ট।
আজমের শরিফে প্রায় কুড়ি মিনিট ছিলেন পাক প্রেসিডেন্ট। সেই সময়ের মধ্যেই মসজিদ, সমাধি, রান্নাঘর সহ দরগার বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন তিনি। পরে, সেখান থেকেই ইসলামাবাদ রওনা হয়ে যান আসিফ আলি জারদারি।