Bird Flue-র আতঙ্ক, মুরগির মাংস-ডিমের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ Mandsaur-এ

বার্ড ফ্লু-কে বিপর্যয় বলে ঘোষণা করেছে কেরল(Kerala) সরকার

Updated By: Jan 5, 2021, 03:54 PM IST
Bird Flue-র আতঙ্ক, মুরগির মাংস-ডিমের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ Mandsaur-এ

নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর ভারত থেকে বার্ড ফ্লুর আতঙ্ক ছড়িয়েছে মধ্য প্রদেশেও। পরিস্থিতি বড়সড় আকার নেওয়ার আগেই এনিয়ে পদক্ষেপ নিতে শুরু করল রাজ্য প্রশাসন।

মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় আচমকাই মারা গিয়েছে বহু কাক(Crow)। শুধুমাত্র মান্দসৌরে মৃ্ত্যু হয়েছে ১০০ কাকের। রাজ্য সরকারের তত্পরতায় চিহ্নিত করা গিয়েছে ওইসব কাকের মৃত্যু হয়েছে বার্ড ফ্লু-তেই। রাজস্থান, হিমাচলপ্রদেশেও বার্ড ফ্লুতে(Bird Flue) মৃত্যু হয়েছে বহু পাখির। একথা মাথার রেখে মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌরে(Mandsaur) টানা ১৫ দিন মুরগির মাংস ও ডিমের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল স্থানীয় প্রশাসন।

আরও পড়ুন-একা প্রিয়াঙ্কা নন, জুনিয়র মৃধা খুনে প্রভাবশালী যোগ

সম্প্রতি রাজ্যের ইন্দোর-সহ একাধিক জেলায় মারা পড়ছে কাক। ওইসব কাকের দেহে মিলেছে বার্ড ফ্লুর অস্তিত্ব। রাজ্যের পশুপালন দফতরের মন্ত্রী প্রেম সিং প্যাটেল সংবাদমাধ্যমে বলেন, রাজ্যে পাখির মৃত্যুর ওপরে নজর রাখতে তৈরি হয়েছে Rapid Response Team। দফতরের তরফে বলা জানানো হয়েছে গত বছর ২০ ডিসেম্বর থেকে এবছর ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ইন্দোর মারা পড়েছে ১৪২ কাক। ১০০ কাক মরেছে মন্দসৌরে, ১১২ কাক মারা গিয়েছে আগার-মালওয়াতে ও ১৩টি কাকের মৃত্যু হয়েছে কারাগোন জেলায়। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্যে।

এদিকে, বার্ড ফ্লু-কে বিপর্যয় বলে ঘোষণা করেছে কেরল(Kerala) সরকার। ইতিমধ্যেই কোট্টায়াম, আলাপুপুঝ জেলা থেকে পাখির মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ওইসব জেলায় যেসব এলাকায় বার্ড ফ্লুর দেখা মিলেছে সেখানে এক কিলোমিটার এলাকায় মুরগি, হাঁস মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

কেন আতঙ্ক বাড়ছে বার্ড ফ্লু নিয়ে?

প্রতি বছরই শীতের সময় পরিযায়ী পাখিদের ভিড় জমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে এবার কয়েকটি রাজ্যে পরিযায়ী পাখিদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। হিমাচল প্রদেশের পোং ড্যাম এলাকায় প্রায় ১৪০০ পাখি মারা পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা সন্দেহ করছেন বার্ড ফ্লু-এর কারণেই এইসব মৃত্যু।

আরও পড়ুন-এক লাফে দেশে বাড়ল করোনার নতুন স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা, মোট ৫৮

মধ্যপ্রদেশের একটি কলেজ চত্বরেও একশোর বেশি কাকের মৃতদেহ পড়ে ছিল। স্থানীয় লোকজন তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরীক্ষার পর জানা যায়, এইচ-ফাইভ এন-এইট ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল কাকের দল। তার পরই ওই এলাকায় একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

.