Congress ১৫টা আসন ছাড়লে, বামেরা ৩০টি, 'ভাইজান'কে আমন্ত্রণ পত্র Biman-র
মৌমিতা চক্রবর্তী
মৌমিতা চক্রবর্তী
ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে জোটে শরিক করতে মরিয়া আলিমুদ্দিন। আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে বিমান বসুকে (Biman Basu) চিঠি দিয়েছিলেন আব্বাস সিদ্দিকি (Abbas Siddique)। আলিমুদ্দিন চাইছে, বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসুন আব্বাসরা (Abbas Siddique)। সেজন্য ১৬ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (Indian Secular Front) নেতৃত্বকে থাকার জন্য চিঠি দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান।
আব্বাস সিদ্দিকির চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করে বামফ্রন্টে চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu) বলেছিলেন,'আমরা আইএসএফের (ISF) সঙ্গে বোঝাপড়া হোক চাই। সামিল হোক কংগ্রেসও। তিন পক্ষকে এক জায়গায় আসতে হবে।' বস্তুত, সিপিএমের উদ্যোগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে অধীর চৌধুরীকে বার্তা পাঠিয়েছেন আইএসএফ নেতা নওয়াজ সিদ্দিকি। আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোটের গুরুত্ব বোঝাতে ইতিমধ্যেই সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান। এতেই স্পষ্ট, ফুরফুরা শরিফের পীরজাদাকে জোটের শরিক করতে আপত্তি নেই বিধান ভবনেরও।
'মিঞা-বিবি রাজি তো ক্যা করেগা কাজি' হলেও চূড়ান্ত সমঝোতা নিয়ে রয়েছে বিস্তর গোলমেলে অঙ্ক। সূত্রের খবর, সিপিএম নেতৃত্ব মনে করছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বসিরহাট, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দুই দিনাজপুর-সহ রাজ্যের সংখ্যালঘু আসনগুলিতে তুরুপের তাস হতে পারেন আব্বাস সিদ্দিকি। মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও দুই দিনাজপুরে কংগ্রেসের প্রভাব যে এখনও রয়েছে তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। সেক্ষেত্রে সমঝোতায় কংগ্রেসের নমনীয়তা বাঞ্চনীয়।
সূত্রের খবর, আইএসএফ-কে জায়গা দিতে ২:১ ফর্মুলায় হাঁটতে পারে সিপিএম (CPM)। সেক্ষেত্রে ১৫টি আসন কংগ্রেস ছাড়লে বামেরা ছাড়বে ৩০টি। বলে রাখি, আব্বাস ৪৪টি আসনই দাবি করছেন বলে খবর। আলিমুদ্দিন নেতৃত্বের ফর্মুলায় তা সম্ভব। তিন শিবিরের নেতৃত্বের একসঙ্গে আলোচনা তাই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। সেই উদ্যোগই নিলেন বিমান বসু। ১৬ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে মুখোমুখি বসতে চলেছে বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ। রফাসূত্র মিললে, আসন্ন নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে বলে মত অনেকের।
আরও পড়ুন- ফ্রেরুয়ারিতে ফের বাংলায় Narendra Modi, আসতে পারেন Amit Shah-ও