1/7
2/7
কিন্তু এদিনটির সত্যকার পরিচয় জানলে অবাক হতে বাধ্য সকলে। পুরাণঘটিত মোটামুটি তিনটি অতি বিশেষ ঘটনার সঙ্গে বিজড়িত দিনটি। প্রথমত, মনে করা হয়, বিষ্ণুর দশাবতারের ষষ্ঠ অবতার পরশুরামের জন্ম চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লা তৃতীয়া তিথিতে তথা এই অক্ষয়তৃতীয়ার দিনে। এ কারণে কোনও কোনও জায়গায় দিনটি 'পরশুরাম জয়ন্তী' হিসেবেও পালিত হয়।
photos
TRENDING NOW
3/7
পরশুরাম খুবই বিতর্কিত চরিত্র। পরশুরামের পিতা জমদগ্নি ও মাতা রেণুকা। জমদগ্নি ব্রাহ্মণ হলেও রেণুকা ক্ষত্রিয়কন্যা। পরশুরাম জন্মসূত্রে ব্রাহ্মণ হলেও প্রবল ক্ষাত্রতেজসম্পন্ন ছিলেন। তিনি ২১ বার পৃথিবীকে নিঃক্ষত্রিয় করেছিলেন। তিনি নাকি তাঁর মাকেও হত্যা করেছিলেন। পরে তাঁর মনে এজন্য পরিতাপ আসে এবং তিনি মাতৃহত্যার পাপ থেকে মুক্ত হতে প্রব্রজ্যা গ্রহণ করেন। বহু তীর্থে স্নান করে তীর্থজলে তিনি ধুয়ে নেন তাঁর কুঠার। কিন্তু ধুয়ে-ধুয়েও তা থেকে নাকি মাতৃরক্তচিহ্ন মুছে ফেলা যায়নি। অবশেষে কর্ণাটকে তুঙ্গ নদীর জলে স্নান করলে তাঁর কুঠার কলুষমুক্ত হয়। যাই হোক, লোকবিশ্বাস, ব্রহ্মক্ষত্রিয় সেই মহাপরাক্রান্ত পরশুরাম আজও জীবিত। আজও 'অক্ষয়' তাঁর উপস্থিতি।
4/7
5/7
কুবেরের এই বৈভবের পিছনে রয়েছে রামায়ণের কাহিনির সূত্র। কুবেরই স্বর্ণলঙ্কার অধিপতি ছিলেন। রাবণ তাঁকে তাড়িয়ে লঙ্কা দখল করেন। তখনই কুবের মহাদেবের তপস্যা করেন। মহাদেব তুষ্ট হয়ে তাঁকে অনন্ত ঐশ্বর্য দান করেন। পুরাণ মতে, এক অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেই কুবেরকে তাঁর অনন্ত বৈভব দান করেছিলেন স্বয়ং মহাদেব। বিশ্বকর্মা কৈলাসের কাছে অলকায় কুবেরের প্রাসাদ তৈরি করে দেন।
6/7
7/7
তবে অক্ষয়তৃতীয়া দিনটির সঙ্গে বাঙাালি তথা ভারতবাসীর সম্ভবত একটি কারণেই আত্মিক যোগাযোগ তৈরি হয়। এই দিনই মহাভারত রচনা শুরু। ব্য়াসদেব এই চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতেই মহাভারতের শ্লোক উচ্চারণ শুরু করেন আর গণেশ তা লিখতে শুরু করেন। তাই লোকবিশ্বাস, যে কোনও কাজ আরম্ভের জন্য এই দিনটিই প্রশস্ত।
photos