মায়া-অখিলেশের সঙ্গে রাহুল হাত মেলালে উত্তরপ্রদেশে নিশ্চিহ্ন বিজেপি, আভাস সমীক্ষার

Jan 23, 2019, 21:27 PM IST
1/8

উত্তরপ্রদেশে মহাজোটের জেরে বড়সড় সঙ্কটে পড়তে চলেছে বিজেপি। এমনটাই আভাস দিল ইন্ডিয়া টুডে ও কার্ভি ইনসাইটের মুড অব দ্য নেশন সমীক্ষা। 

2/8

এসপি, বিএসপি, কংগ্রেস ও আরএলডি জোটে নির্বাচনে লড়াই করলে উত্তরপ্রদেশে হতশ্রী দশা হতে চলেছে গেরুয়া শিবিরের। ২০১৪ সালে উত্তরপ্রদেশেই ৭৩টি আসন জিতেছিল বিজেপি জোট। 

3/8

লখনৌয়ের পথ ধরেই যেতে হয় দিল্লি। ৮০ আসনের উত্তরপ্রদেশই ঠিক করে দেয়, দিল্লির তখতে কে আসতে চলেছেন? সেই উত্তরপ্রদেশেই মোদীর জন্য কাঁটা বিছিয়ে রেখেছেন মায়াবতী-অখিলেশ। ইতিমধ্যেই জোটের ঘোষণা করেছেন তাঁরা। এই জোটে কংগ্রেস না থাকলেও রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু হয় না, সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারাই।   

4/8

কংগ্রেস নেতা চিদম্বরম জানিয়ে রেখেছেন, জোটে পরিবর্তন হবে না এমনটা এখনই বলা যায় না। ফলে জোটে কংগ্রেসের থাকার সম্ভাবনা এখনই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এদিন অমেঠিতে রাহুল গান্ধীর মন্তব্য, সপা-বসপার জোট নিয়ে তাঁর কোনও ক্ষোভ নেই। অর্থাত্ মায়া-অখিলেশের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা যে এখনও রয়েছে তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। 

5/8

সপা-বসপা জোটে যদি কংগ্রেস যোগ দেয় তাহলে কী হবে? সমীক্ষা বলছে, এবার উত্তরপ্রদেশে সাকুল্যে পাঁচটি আসন পাবে বিজেপি। ৮০টির মধ্যে ৭৫টি আসনই যেতে চলেছে বিরোধী শিবিরে।   

6/8

শুধু আসনই নয়, কমছে বিজেপির ভোটের হারও। ২০১৪ সালে বিজেপি পেয়েছিল ৪৩.৩ শতাংশ ভোট। এবার তা কমে দাঁড়াবে ৩৬ শতাংশে। বিরোধী জোটের ভোট ৫০.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হতে চলেছে ৫৮%।

7/8

উত্তরপ্রদেশের ২,৪৭৮ জনের মত নিয়ে সমীক্ষাটি করেছে ইন্ডিয়া টুডে-কার্ভি ইনসাইট।

8/8

উত্তরপ্রদেশে উচ্চবর্ণের ভোট চিরকালই পড়ে পদ্মে। ২০১৪ সালে হিন্দুত্বের নামে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সেনাপতি অমিত শাহ। সেবার ব্রাহ্মণ ও দলিতদের এক ছাতার তলায় আনতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, সপা ও বসপা আলাদা আলাদা লড়াই করেছিল। এবার দুই শক্তিশালী দল একসঙ্গে। তাদের সঙ্গে যোগ দিতে চলেছে কংগ্রেস। ফলে বিরোধীদের সম্মিলিত ভোটের সামনে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে অমিতের হিন্দুত্বের ডোজ, মত রাজনৈতিক মহলের একাংশে। এরইসঙ্গে রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে গড়মসি করার অভিযোগও উঠেছে। গোবলয়ের মতো কট্টর হিন্দুত্বের ভূমিতে তা মোটেই স্বস্তি দিচ্ছে না গেরুয়া শিবিরকে।