কিংবদন্তি চিকিত্‍সক, রাজ্যের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী--এক বর্ণিল ব্যক্তিত্ব বিধানচন্দ্র রায়

| Jul 01, 2021, 14:36 PM IST
1/8

বিচিত্র জীবন এই বিধানচন্দ্র রায়ের। চিকিত্‍সক, স্বাধীনতা সংগ্রামী, রাজনীতিবিদ আবার ট্যাক্সিচালকও। চিকিত্‍সক হিসেবে তিনি কিংবদন্তি। প্রশাসক হিসেবেও কিংবদন্তি। 

2/8

এ হেন বিধান রায়ের জন্ম তথা মৃত্যু দিন আজ, ১ জুলাই। ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দের ১ জুলাই পাটনার বাঁকিপুরে তাঁর জন্ম। শোনা যায়, ব্রাহ্মনেতা ও 'নববিধান' ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠাতা কেশবচন্দ্র সেন তাঁর নামকরণ করেন 'বিধান'। ১৯৬২ সালের ১ জুলাইতেই তাঁর মৃত্যু।

3/8

মতিলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, কমলা নেহরু, বল্লভভাই পটেল, ইন্দিরা গান্ধী-- কে না তাঁর চিকিৎসা-পরামর্শ নিতেন! ১৯১৩-১৯৪৮ পর্বে মহাত্মা গাঁধী ১৮ বার অনশন  পালন করেন। এর মধ্যে বহু বারই বিধানচন্দ্র তাঁর শয্যাপার্শ্বে উপস্থিত থেকেছেন।

4/8

 ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইংল্যান্ড থেকে এমআরসিপি এবং এফআরসিএস উপাধি অর্জন করার পর কলকাতার ক্যাম্পবেল মেডিক্যাল স্কুলে (বর্তমানে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ) শিক্ষকতা ও চিকিৎসা পেশা শুরু করেন।

5/8

বিধানচন্দ্র রায় ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে দেশবন্ধুর কাছে রাজনৈতিক দীক্ষা লাভ করেন। কিছুদিনের মধ্যে আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন। মহাত্মা গান্ধীর ডাকে কংগ্রেসে যোগদান করেন। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে কারাবরণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল হওয়ার জন্য তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কাছ থেকে প্রস্তাব পান। সবিনয় ফিরিয়েও দেন তা। 

6/8

পরে পশ্চিমবঙ্গ আইন সভার সদস্যগণ একবাক্যে তাঁকে দলনেতা নির্বাচন করলে সমস্যাকণ্টকিত পশ্চিমবঙ্গের নব রূপায়ণকল্পে মুখ্যমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের প্রতিনিধিত্বে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি ১৪ থেকে মৃত্যুকাল অবধি ১৪ বছর তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

7/8

মুখ্যমন্ত্রিত্ব কালে বিধানচন্দ্র রায় পাঁচটি নতুন শহর প্রতিষ্ঠা করেন: দুর্গাপুর, বিধাননগর, কল্যাণী, অশোকনগর-কল্যাণগড় ও হাবড়া। তাঁর চৌদ্দো বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্বকালে নবগঠিত পশ্চিমবঙ্গের প্রভূত উন্নতি হয়েছিল। যে কারণে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের রূপকার নামে অভিহিত করা হয়। মৃত্যুর পর তাঁর সম্মানে কলকাতার উপনগরী সল্টলেকের নামকরণ করা হয় বিধাননগর। (তাঁর জন্ম ও মৃত্যুদিন) ১ জুলাই দিনটি সারা ভারতে 'চিকিৎসক দিবস' রূপে পালিত হয়।

8/8

১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান 'ভারতরত্নে' ভূষিত হন। ১৯৬১ ছিল রবীন্দ্র শতবার্ষিকীও। সরকারি ভাবে রবীন্দ্র-সম্মাননার ক্ষেত্রে নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের মধুর সম্পর্ক ছিল। তিনি কবিরও চিকিত্‍সা করেছিলেন।