করোনা মোকাবিলায় চেস্ট ফিজিওথেরাপি করুন নিজেই, জানুন পদ্ধতি

Jun 04, 2021, 21:11 PM IST
1/9

নিজস্ব প্রতিবেদন:  এখন প্রতিষেধকের আকাল, চরম দামে বিক্রি হচ্ছে অক্সিজেন। 'একটা অক্সিজেনের সিলিন্ডার জোগাড় করে দিতে পারবেন?' এই প্রশ্নেই হন্যে হয়ে ঘুরছে রোগীর পরিবার। আপনাকে যাতে এমন অবস্থায় না পড়তে হয়, তার জন্য বাড়িতেই করুন চেষ্ট ফিজিওথেরাপি। 

2/9

মনে রাখবেন, শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার আগে থেকেই অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল  কমতে থাকে। তাই আগে থেকেই যদি আপনি বিষয়টার দিকে নজর রেখে ফিজিওথেরাপি শুরু করেন তাহলে এই হাহাকারের মধ্যে নাও পড়তে হতে পারে আপনাকে। মনে রাখবেন, এই সময় যখন বিপদে পড়বেন তখন প্যানিক করবেন না। এতে শ্বাসকষ্ট আরও বাড়বে। 

3/9

 কোভিড-১৯ রোগ ও এর প্রতিরোধ সম্পর্কে সবাইকে ধারণা রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি সুষম খাবার, ফুসফুসের এক্সারসাইজ, অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমানো যায়। 

4/9

 কিছু ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের শ্বাসকষ্ট কমাতে এবং বুকে জমে থাকা কফ বের করে তাদের সুস্থ করে তুলতে রেসপিরেটরি ফিজিওথেরাপিস্ট সাহায্য করছেন, আর এতে সুফলও মিলছে।

5/9

রোজ সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা হতে পারে চমৎকার এক্সারসাইজ।  বয়স্ক রোগীরা (৫০-৮০ বছর) শারীরিক কাজকর্ম না করার ফলে রক্তে থাকা খারাপ হরমোন-কর্টিসল, পিএআই এর পরিমাণ বেড়ে গেলে রক্ত জমাট বাধার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।  তখনই হচ্ছে শ্বাসকষ্ট।   

6/9

 অক্সিজেন সেচুরেশন রেট ৯২ বা ৯৩  থাকলে প্রোন পজিশনে থেকে ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন। অক্সিজেন রেট স্বাভাবিক মাত্রায় চলে আসবে। জল খেয়ে নিন সেই সময়। 

7/9

যাদের শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট রয়েছে তাঁদের পেটের চর্বির জন্য ফুসফুসের নিচের অংশের কার্যক্ষমতা কমে যায়। তাই পেটের এক্সারসাইজ, ব্রিদিং এক্সারসাইজ, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, অ্যারোবিক এক্সারসাইজ (হাঁটাহাঁটি, জগিং, সিঁড়িতে ওঠানামা করা), স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ, রেসিস্ট্যান্স এক্সারসাইজ (ডাম্বেল অথবা থেরাব্যান্ড দিয়ে) করতে পারেন। এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। 

8/9

এ সময় ব্রিদিং এক্সারসাইজ করার জন্য নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে তা ৫ সেকেন্ড ধরে রাখবেন এবং মুখ দিয়ে তা ধীরে ধীরে শ্বাস ছেড়ে দেবেন। ৫ বার করার পর কাশি হবে। সেই সময় নিজের চেষ্টায়  কফ কাশির মাধ্যমে বের করার চেষ্টা করবেন।

9/9

অ্যারোবিক এক্সারসাইজ, স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ, রেসিস্ট্যান্স এক্সারসাইজ ইত্যাদির মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফুসফুস এবং হার্টের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখাটাই জরুরি। নাক দিয়ে যে সময় ধরে শ্বাস নেবেন, মুখ দিয়ে তার চেয়ে বেশি সময় ধরে শ্বাস ছেড়ে দেবেন। এভাবে রোগীর ফুসফুসের আয়তনও বাড়বে, মানসিক প্রশান্তি হবে এবং রোগী আরাম বোধ করবেন।