''ভারতীয় ও পাকিস্তানি সেনা বন্ধুত্ব করলে মনোবল ভাঙে'', বিজেপির ছোঁয়াচ এড়ানোর বার্তা ফিরহাদের

Mar 10, 2019, 16:35 PM IST
1/8

বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে মুকুল রায় লুচি-আলুর দম খাওয়ার পরই শুরু হয় নানা জল্পনা। রবিবার বিধাননগরের সমস্ত তৃণমূল কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠকে বসে তৃণমূল নেতৃত্ব। বৈঠকের পর সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হন ফিরহাদ হাকিম। দাবি করেন, সব্যসাচী দত্ত তৃণমূলেই আছেন। পরিস্থিতি গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন দলের প্রাক্তন সদস্য।      

2/8

ফিরহাদ হাকিম বলেন,''বিজেপির একজন সদস্য যিনি আগে আমাদের দলে ছিলেন। চারদিকে ঘুরে ঘুরে পরিস্থিতি গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। দলের প্রার্থী করার জন্য ঝুলি হাতে বেরিয়ে পড়েছে''। 

3/8

ফিরহাদ আরও বলেন,''আমাদের সদস্যের বাড়িতে গিয়ে লুচির-আলুর দম খাওয়ার নাম করে পরিস্থিতি গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পনা করেছেন। তীব্র ধিক্কার জানাই''।

4/8

সব্যসাচীর বাড়িতে মুকুলের আগমন যে নেহাতই সৌজন্যের রাজনীতি ছিল, তাও স্পষ্ট করেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়,''  আগে যেহেতু তিনি আমাদের দলে ছিলেন, সবার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। উনি বিনা নেমতন্নেই ঘরে ঢুকে যান। ভদ্রতার খাতিরে বের করে দিতে পারেননি সব্যসাচী। আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরির চেষ্টা করছেন''। 

5/8

ফিরহাদ আরও বলেন,''আমরা প্রত্যেকেই কংগ্রেস করতাম। আমি ও সব্যসাচী কংগ্রেস করতাম। সুজিত করত সিপিএম।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে বিশ্বাস করে তৃণমূল করি। আমাদের দল গান্ধী ও সুভাষের আদর্শ মেনে চলে। যে দলটা মুকুল করেন, সেই দলটা গান্ধী হত্যাকারী গডসের আদর্শে বিশ্বাসী''। 

6/8

তৃণমূলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করতেই মুকুল অভিসন্ধি করে সব্যসাচীর বাড়িতে এসেছিলেন মুকুল, এমন দাবি করেন ফিরহাদ হাকিম।  তাঁর কথায়, ''পুরনো মানুষ এসেছেন। কী করে বুঝবে সাংবাদিকদের ডেকে এনে ছবি তুলবে! সব্যসাচী অভিসন্ধি বুঝতে পারেননি''। 

7/8

বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যে এবার দূরত্ব বজায় রাখা হবে, সেই বার্তাও দেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বার্তা, আমাদের শত্রুর নাম বিজেপি। ওদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখব না। যারা বিজেপিতে গিয়েছে, তারা ধান্ধাবাজ। তৃণমূলের মধ্যেই খাওয়াদাওয়া ও আত্মীয়তা থাকবে। জোরদার লড়াই হবে। ভারতীয় সেনা ও পাকিস্তানি সেনা বন্ধুত্ব করলে মনোবল ভেঙে যাবে। যারা দেশকে ভালবাসে তারা বিজেপির সঙ্গে নেই।  আমরা মোদীকে না সরানো পর্যন্ত অপোস করব না। সব্যসাচী বলেছে, ভুল হয়ে গিয়েছে। 

8/8

ফিরহাদের পর সব্যসাচীও জানিয়ে দেন, তৃণমূলেই আছেন তিনি। পুরনো সম্পর্ক থাকায় তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন মুকুল রায়। তাঁর দাবি, কে কী দেখালেন তাতে আমার নতুন করে কিছু। দলে ছিলাম, আছি, থাকব।