সুধীনের 'জিঙ্গল বেলে' কণ্ঠ দিলেন শ্যামল

বাংলায় 'জিঙ্গল বেল' শুনেছেন? হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন প্রশ্নটা শুনে? ভাবছেন, বাংলায় আবার জিঙ্গল বেল কি? হয়, হয়। তা-ও হয়।

Dec 25, 2020, 19:39 PM IST

বাংলায় 'জিঙ্গল বেল' শুনেছেন? হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন প্রশ্নটা শুনে? ভাবছেন, বাংলায় আবার জিঙ্গল বেল কি? হয়, হয়। তা-ও হয়।

1/7

2/7

কিংবা বলা ভাল, হয়েছে। 'কতদূর কতদূর কোন অজানায়/ পথ ওই চলে গেছে সুদূরে কোথায়'-- এ গান শোনেননি, এমন বাঙালি হাতেগোনা। পবিত্র মিত্রের লেখা সুধীন দাশগুপ্তর সুরে শ্যামল মিত্রের এ গান সঙ্গীতপ্রেমী বাঙালির চেনা।

3/7

কিন্তু এ গানের ছোট্ট ইতিহাস আছে। তার আগে প্রথমেই বলে রাখা যাক, এ গান 'জিঙ্গল বেলে'র সুরে বেঁধেছিলেন সুধীন দাশগুপ্ত।

4/7

'জিঙ্গল বেল' হিসাবে পরে খ্যাতিলাভ করা গানটি বড়দিনের ঘণ্টা বাজিয়ে লিখেছিলেন জেমস লর্ড পিয়ারপন্ট (১৮২২-১৮৯৩)। ১৮৫৭ সালে 'দ্য ওয়ান হর্স ওপেন স্লেইগ' শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল এই গান। প্রাথমিক ভাবে ক্রিসমাসের সঙ্গে এর কোনও সংযোগ ছিল না। তবে পরবর্তী সময়ে এটি ক্রিসমাসের অনুষঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।

5/7

১৬৩ বছর আগে তৈরি হওয়া এই 'জিঙ্গল বেল' যুগের পর যুগ ধরে সারা পৃথিবীর মানুষের মনকে ছুঁয়ে যায়। এতটাই যে, তৈরি হওয়ার প্রায় একশো বছরের মাথায় গানটি বাংলা গানের জগতেও সাবলীল ভাবে ঢুকে পড়ে।

6/7

ঢুকে পড়ে সুধীন-শ্যামল জুটির হাত ধরে। ১৯৫৩ সালে সম্পূর্ণ নতুন এক আঙ্গিকে বাঁধা এই 'কতদূর কতদূর কোন অজানায়' আশ্চর্য করে, মুগ্ধ করে অধিকাংশ বাঙালি শ্রোতাকে। 

7/7

শুধু তো পাশ্চাত্যের ছন্দ নয়, পাশ্চাত্য সঙ্গীতের সমস্ত অনুষঙ্গ-সহ এ গান এক অন্যরকম আবহ তৈরি করে দেয় শ্রোতার মনে। গানটির আবহে ছিল অ্যাকর্ডিয়ান, পিয়ানো, ভায়োলিন, গিটার সহ এক অপূর্ব সিম্ফনি। ছিল কোরাসও।