Wimbledon: জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন বাঙালি সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়, এক ঝলকে

Jul 12, 2021, 19:54 PM IST
1/10

নিজস্ব প্রতিবেদন- রবিবার জুনিয়র উইম্বলডন জয়ের আগে তো বটেই, জয়ের পর থেকে বাঙালি লন টেনিস খেলোয়াড় সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ছেই। কাকা কণাদ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে উইম্বলডন খেলতে এসেছিলেন।  প্রথমবার ঘাসের কোর্টে খেলতে নেমেই কেল্লা ফতে। বয়স মাত্র ১৭। দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ভালোই। ছোটবেলায় ঘন ঘন আসতেন বাবার সঙ্গে। পড়াশোনা আর খেলার চাপে সেটা একটু কমেছে।

2/10

দক্ষিণ কলকাতার লেক গার্ডেন্সে বাড়ি আছে সমীরের বাবা কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কলকাতায় এসে সাউথ ক্লাব বা দক্ষিণ কলকাতা সংসদের পরিকাঠামো ঘুরে দেখেছেন। ITF-এর  জুনিয়ার্স খেলার জন্য দিল্লিতে আসর কথা ছিল তাঁর। কিন্তু কোভিড সতর্কতায় তা াবতিল হয়ে যায়।

3/10

ফিরছেন নিউ জার্সির বাড়িতে। সেখানে সমীরের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁর বাবা,মা আর দিদি।  সমীরও অপেক্ষা করছেন উইম্বলডনের  ট্রফি  মায়ের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।  সমীর চান প্রফেশনাল কেরিয়ার গড়ে তুলতে। কিন্তু পড়াশোনা তাঁর কাছে প্রায়োরিটি।  পড়াশোনাকে  গুরুত্ব দিয়ে ইউএস ওপেনের জন্য নিজেকে তৈরি করতে চান জুনিয়র উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন।

4/10

প্রিয় খেলোয়াড় জকোভিচ। শুধু তাঁর ফিটনেস, স্ট্র্যাটেজিই নয়, মাঠের বাইরের জোকারকেও তিনি অনুসরণ করেন। কারণ, সমীর বিশ্বাস করেন, মাঠের বাইরের মানুষটার মধ্যেই একটু একটু করে জারিত হয় কিলার ইনস্টিংকট। ম্যাচ পয়েন্টে দাঁড়িয়েও কীভাবে ফিরে আসেন জোকার, সেটাই তিনি জানতে চান।

5/10

পড়াশোনায় ভাল ছাত্র। পছন্দের বিষয় অঙ্ক আর মহাকাশ বিজ্ঞান। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। বাড়ি থেকে কোনও চাপ নেই। লেখাপড়া করতে ভালোবাসেন, পাশপাশি টেনিস কোটিং ক্যাম্পে ভর্তি হন। 

6/10

এর আগে ফ্রেঞ্চ ওপেনে প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে যান সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্লে-কোর্টে তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেন নি। অথচ এবার প্রথমবার ঘাসের কোর্টে খেলতে নেমেই বুঝতে পারেন যে তাঁর শটস ভাল হচ্ছে, সার্ভিস মাপ মত পড়ছে। আত্মবিশ্বাস পান সেই থেকেই।

7/10

সমীরের দাদু ডিব্রুগড়ের অয়েল ইন্ডিয়া কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তাই তাঁর বাবা, কাকারা সবাই ডিব্রুগড়ের বাসিন্দা। পড়াশোনাও সেখানেই। সমীরের জেঠু রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় আইআইটি খড়গপুরের কৃতী ছাত্র।

8/10

ছোটবেলায় ঘন ঘনই বাবা-মায়ের সঙ্গে কলকাতায় আসা হত বলে জানিয়েছেন সমীর। তবে এখন উইম্বলডন জিতে তাঁর খ্যাতি বিশ্বজোড়া। তিনি জানেন, এই খেতাব তাঁর আগে জিতেছেন কলকাতারই লিয়েন্ডার পেজ। আরও দুই ভারতীয় রমানাথন কৃষ্ণন ও তাঁর ছেলে রমেশ কৃষ্ণনও এই খেতাব জিতেছেন, তা জানেন সমীর।

9/10

লকডাউনে প্র্যাকটিসে অসুবিধা হয়েছে। তখন অনলাইন ক্লাসের পাশপাশি গল্পের বই, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপই ছিল সঙ্গী। বন্ধুত্ব পাতিয়েছেন ওয়েব প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেও।

10/10

উইম্বলডন জিতেও মাথা ঘোরেনি। জানেন প্রফেশনাল টেনিস প্রচুর পরিশ্রমের ব্যাপার। সেই লক্ষ্যেই ছোটাতে চান জীবন।