Jalpaiguri River: ঘরের দরজায় এসে হাজির নদী, পাহাড় কাটার বদলা নিতে ফুঁসছে জুরুন্তী

Jun 21, 2023, 21:06 PM IST
1/5

স্বাভাবিক গতিপথ আটকে যাওয়ায় বাগ্রাকোটে বিডিআর বস্তির বসতি এলাকার দিকে এগোতে শুরু করেছে জুরন্তী নদী। মঙ্গলবার রাতে কালিম্পং পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে গতিপথ পাল্টে পাহাড়ি  নদী জুরন্তীর তীব্র জলস্রোত বাগ্রাকোটের বিডিআর বস্তিতে ঢুকে পড়ে। মঙ্গলবার রাত আটটা থেকে বুধবার ভোর তিনটে পর্যন্ত একেবারে বাড়ির উঠোন দিয়ে নদী বয়ে যাওয়ার ফলে আতঙ্কে রাতে ঘুমোতে পারেননি বিডিআর বস্তির বাসিন্দা কৃতীমান সার্কি,নীতি বিশ্বকর্মা, নিগম ছেত্রীরা। -তথ্য ও ছবি-অরূপ বসাক  

2/5

বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে একাধিক বাড়ির উঠোনে পুরু পলির স্তর জমে থাকতে দেখা গিয়েছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা এদিন সকাল থেকে সিকিমগামী নতুন ৭১৭ এ জাতীয় সড়কের নির্মান কাজের জন্য ব্যবহৃত সমস্ত যানবাহন আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে মাল থানার পুলিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকার বাসিন্দাদের সাথে আলোচনা শুরু করেছেন। -তথ্য ও ছবি-অরূপ বসাক   

3/5

হঠাৎ করে জুরন্তী নদী তার স্বাভাবিক গতিপথ পাল্টে দেবার পেছনে কারন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিডিআর বস্তীর বাসিন্দা আমন ছেত্রী বলেন,"নতুন জাতীয় সড়ক নির্মানের জন্য যথেচ্ছভাবে সংলগ্ন পাহাড় কাটার পর যে হাজার হাজার টন মাটি পাথর বেরিয়ে এসেছে সেগুলো কোনওরকম ভাবনাচিন্তা ছাড়াই পাহাড়ের ঢাল বেয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ভাবেই একদিকে যেমন পাহাড় থেকে নেমে আসা বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক ঝোড়া একেবারে বুজে গিয়েছে, তেমনই ওই একই পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসা জুরন্তী নদী তার স্বাভাবিক গতিপথ হারিয়েছে। -তথ্য ও ছবি-অরূপ বসাক

4/5

"সমস্যার এখানেই শেষ নয়। নিগম ছেত্রী নামে এলাকার এক যুবকের অভিযোগ,নির্বিচারে নদীর বুকে হাজার হাজার টন মাটি, পাথর ডাম্পিং করার ফলে জুরন্তীর নদীখাত ভরাট হয়ে এখন অনেকটাই উঁচু হয়ে গিয়েছে। যার ফলে ভারী বৃষ্টি হতেই নদীর জল বসতির দিকে এগিয়ে এসেছে। -তথ্য ও ছবি-অরূপ বসাক

5/5

বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট  সড়ক নির্মানকারী সংস্থার তরফে প্রজেক্ট ম্যানেজার আমন খান বলেন,বাগ্রাকোট থেকে কাফের পর্যন্ত এই সড়কের নির্মানকাজে মোট তিনটি সংস্থা কাজ করছে। প্রত্যেককেই পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করতে হচ্ছে। অর্থাৎ,সমস্যা মেটানোর দায়িত্ব শুধু তাদের একার নয়। বাকি দুটো সংস্থাকেও সমানভাবে নিতে হবে। তিনি বলেন, এদিন স্থানীয়রা সমস্ত নির্মানকাজ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে সংস্থাকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। তবুও বর্ষার এই মরশুমে কালিম্পং বন বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের অনুমতি পেলে জুরন্তী নদীর বুকে ভারী মেশিন কাজে লাগিয়ে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নদীখাত গভীর করার কাজ শুরু করা হবে। আমন খানের দাবি,গতবছর এভাবেই স্থানীয়দের চাপে নদীখাত গভীর করতে গিয়ে সংস্থার একটি ভারী মেশিন বন  দপ্তর বাজেয়াপ্ত করে এখনও অব্দি আটকে রেখেছে।এ কারনেই এবার সরকারি অনুমতি পাওয়া না গেলে  আগ বাড়িয়ে কিছু করা যাবে না বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন সড়ক নির্মানকারী সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার আমন খান।  -তথ্য ও ছবি-অরূপ বসাক